Advertisement
  • হোম
  • ধর্ম
  • প্রযুক্তির ব্যবহার যেন হয় কল্যাণমুখী

প্রযুক্তির ব্যবহার যেন হয় কল্যাণমুখী

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

প্রযুক্তির ব্যবহার যেন হয় কল্যাণমুখী
প্রযুক্তির ব্যবহার যেন হয় কল্যাণমুখী

গত শুক্রবার (সৌদি আরবে ১ আগস্ট ২০২৫ খৃষ্টাব্দ মোতাবেক ৭ সফর ১৪৪৭ হিজরি) মসজিদুল হারামে জুমার নামাজ পড়ান শায়খ ইয়াসির ইবনে রশিদ আদ-দাওসারি।

তার জন্ম ৬ আগস্ট ১৯৮০ সৌদি আরবের আল-খারজ এলাকায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি কোরআন হিফজ করেন। তারপর ইমাম মুহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া অনুষদ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক আইনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তুলনামূলক ফিকহের ওপর পিএইচডি করেন।

তার উল্লেখযোগ্য শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন শায়েখ আবদুল আজিজ আলে শায়েখ, শায়েখ সালেহ আল-ফাওজান এবং আব্দুল্লাহ ইবনে জিবরান প্রমুখ। তিনি বাকরি আল-তারাবিশি ও ইব্রাহিম আল-আখদারসহ বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত কারির কাছে কেরাত পড়েছেন।

শায়েখ আদ-দাওসারি ১৯৯৫ সাল থেকে রিয়াদের বেশ কিছু মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫ সালে তিনি মসজিদে হারামে তারাবিহ ও তাহাজ্জুদের ইমাম নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে তিনি মসজিদে হারামের স্থায়ী ইমাম নিযুক্ত হন। তাকে মসজিদে হারামের সর্বকনিষ্ঠ ইমাম মনে করা হয়।

গত শুক্রবার মসজিদুল হারামে জুমার খুতবায় তিনি বলেন:

মানবসভ্যতা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্মার্ট ডিভাইস, যোগাযোগমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদি ক্ষেত্রে এক বিশাল উন্নতি ও গুণগত উৎকর্ষের সাক্ষী হচ্ছে। এসব প্রযুক্তি অসংখ্য কাজকে সহজতর করেছে এবং পুরো বিশ্বকে ভার্চুয়ালি একসূত্রে বেঁধেছে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করেছে।

উম্মাহকে অবশ্যই এই উন্নতির সুফল গ্রহণ করতে হবে। তবে তা করতে হবে সচেতনতার সাথে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিআসক্তি, ভার্চুয়াল জগতে ডুবে থাকা অনেককে অসামাজিক বানিয়ে দেয়। বাস্তব জগত থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এটা হয়ে ওঠে সময়ের অপচয়, পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্বে অবহেলার কারণ, নেক আমলে অবহেলার কারণ।

সামাজিক মাধ্যম থেকে অনেক সময় গুজব ও ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ে—এ ব্যাপারেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া কোনো সংবাদ যাচাই না করে বিশ্বাস করা, ছড়িয়ে দেওয়া, অহেতুক আতংকগ্রস্ত বা উত্তেজিত হওয়া উচিত নয়।

প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে বড় নেয়ামত যদি তা কল্যাণের পথে পরিচালিত হয়। কিন্তু যদি এর অপব্যবহার হয়, তবে তা হয়ে ওঠে বিপজ্জনক দুধারি তলোয়ারের মতো। তাই প্রযুক্তি ব্যবহার করুন জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সঙ্গে। আপনি প্রযুক্তিকে ব্যবহার করুন, কাজে লাগান। প্রযুক্তি যেন আপনাকে ব্যবহার না করতে পারে, অকল্যাণের পথে না নিয়ে যেতে পারে।

সূত্র: ইনসাইড দ্য হারামাইন

Lading . . .