প্রকাশ: ৪ জুলাই, ২০২৫

আশুরার গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো রোজা। আশুরা উপলক্ষে মুসলিমরা দুই দিন রোজা রাখেন। ৯ ও ১০ জিলহজ অথবা ১০ ও ১১ জিলহজ রোজা রাখতে হয়। ১০ মুহাররমের সঙ্গে ৯ অথবা ১১ মুহাররম মিলিয়ে দুই আশুরার রোজা রাখতে হয়।
আশুরার রোজা সম্পর্কে নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোজার কারণে আল্লাহ তাআলা অতীতের এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম : ১/৩৬৭; জামে তিরমিজি : ১/১৫৮)
আরেক হাদিসে আশুরার রোজার ব্যাপারে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘রমজানের পর আল্লাহর মাস মহররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/৩৬৮; জামে তিরমিজি, হাদিস : ১/১৫৭)
আরও পড়ুন
আশুরার রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে রমজান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি : ১/২১৮)
কেউ কোনো কারণে আশুরায় রোজা রাখতে না পারলে মুহাররমের ফজিলতপূর্ণ সময়ে অন্যান্য নেক আমল করতে পারবেন। যেমন—
মনে রাখতে হবে, যেকোনো নেক আমলই আল্লাহ তায়ালার প্রিয় এবং তিনি নেক আমলের সওয়াব কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দেন। ফজিলতপূর্ণ সময়টি আমল ইবাদতে কাটানো উচিত। কোনোভাবে অবহেলায় কাটানো ঠিক নয়।
অ্যাবাউট ইসলাম অবলম্বনে