Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • এমবাপ্পের দুই পেনাল্টিতে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়

এমবাপ্পের দুই পেনাল্টিতে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়

কালবেলা

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পেনাল্টি থেকে গোল করছেন এমবাপ্পে। ছবি : সংগৃহীত
পেনাল্টি থেকে গোল করছেন এমবাপ্পে। ছবি : সংগৃহীত

চলতি মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে দারুণ সূচনা করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে জয়টা একেবারেই সহজ ছিল না। দুই অর্ধে নাটকীয়তা, কারভাহালের নির্বুদ্ধিতার লাল কার্ড, মার্সেইয়ের দাপট—সবকিছুর পরও শেষ হাসি হেসেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। কিলিয়ান এমবাপ্পের দুটি সফল পেনাল্টিই শেষ পর্যন্ত মাদ্রিদের রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়ায়।

ম্যাচের শুরুতেই দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকে রিয়াল। রদ্রিগো, মাস্তানতুনো, এমবাপ্পে—একের পর এক আক্রমণে ভেঙে পড়ছিল মার্সেই ডিফেন্স। তবে ভাগ্য রিয়ালের পক্ষে ছিল না; কখনো পোস্টে লেগে বল ফিরে আসছে, কখনো মার্সেইর আর্জেন্টাইন গোলকিপার রুলি দারুণ সেভ করে বাঁচাচ্ছেন দলকে।

বরং ২২ মিনিটে উল্টো এগিয়ে যায় মার্সেই। মিডফিল্ডে গুলের বল হারানোর সুযোগ কাজে লাগান গ্রিনউড। তার পাসে টিমোথি উইয়া নিখুঁত ফিনিশে মাদ্রিদের নেট ভেদ করেন। ৪ হাজারের বেশি মার্সেই সমর্থক তখন উল্লাসে মেতে ওঠেন।

তবে রদ্রিগোর বুদ্ধিদীপ্ত মুভমেন্টেই ফিরে আসে রিয়াল। কন্ডগবিয়ার অযথা ফাউল থেকে পেনাল্টি আদায় করে দেন তিনি। ৩৫ মিনিটে এমবাপ্পে নিখুঁত স্পটে কিক নেন, গোলকিপারকে ভুল পথে পাঠিয়ে দলকে সমতায় ফেরান। প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত রিয়াল একের পর এক সুযোগ পেলেও রুলির দেয়াল ভাঙতে পারেনি।

বিরতির পরও আক্রমণ অব্যাহত রাখে রিয়াল। এমবাপ্পের একটি শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। কিন্তু ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে আসে মার্সেই। উইয়া ও গ্রিনউড দুজনই দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলেন, কিন্তু কোর্তোয়া ছিলেন দেয়ালের মতো।

তবে ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে দেয় কারভাহালের বেপরোয়া আচরণ। কর্নার ক্লিয়ার করার চেষ্টায় তিনি গোলকিপার রুলিকে ধাক্কা দেন। ভিএআরের সহায়তায় রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান তাকে। এক খেলোয়াড় কম নিয়ে বাকি সময় খেলতে বাধ্য হয় রিয়াল।

শেষ ১৫ মিনিটে মার্সেই ভেবেছিল জয় তাদের হাতের মুঠোয়। কিন্তু তখনই নাটকীয় মোড়। বাঁ দিক থেকে আসা ক্রসে মার্সেইয়ের মেদিনার হাতে বল লাগলে রেফারি আবারও পেনাল্টি দেন। অনেক বিতর্ক হলেও ভিএআর সিদ্ধান্ত বদলায়নি। ৮২ মিনিটে এমবাপ্পে ঠান্ডা মাথায় আবারও গোল করেন, মাদ্রিদকে এগিয়ে দেন ২-১ ব্যবধানে।

শেষ মুহূর্তে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন গ্রিনউড। কিন্তু তার ভলিটি চলে যায় বাইরে দিয়ে। ফলে কষ্টার্জিত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।

লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলে পাঁচ ম্যাচে টানা পাঁচ জয়—দলের ধারাবাহিকতা ঠিকই ধরে রাখলেন জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। যদিও গরমে নাকাল খেলোয়াড়রা এখনো শতভাগ সতেজ নন, তবুও এমবাপ্পের নেতৃত্বে ইউরোপীয় অভিযানে দুর্দান্ত শুরু করল লস ব্লাঙ্কোস।

Lading . . .