Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই পাকিস্তানের

রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই পাকিস্তানের

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১ জুন, ২০২৫

৪৬ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ হারিস। আজ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেছবি: এএফপি
৪৬ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ হারিস। আজ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেছবি: এএফপি

এবারের পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ দলের প্রাপ্তি কী?

মাঠের বাইরের কোনো প্রাপ্তির কথা যদি বলেন, তাহলে শেষ টি–টোয়েন্টির আগে পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির আমন্ত্রণে পাঞ্জাবের গভর্নর হাউসে যাওয়া–খাওয়া, উপহার হিসেবে স্মারক নেওয়া এবং প্রেসিডেন্টের মুখে বাংলাদেশ নিয়ে কিছু প্রশাংসাবাণী শোনা।

আর মাঠ থেকে প্রাপ্তি! লাহোরে আজ রাতে নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে ১৯৬ রান করতে পারা, যা টি–টোয়েন্টি পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।

ব্যস, এটুকুই। লক্ষ্যটা বড় হলেও মোহাম্মদ হারিসের সেঞ্চুরিতে ১৬ বল আর ৭ উইকেট বাকি রেখেই ম্যাচটা জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। আগের দুই ম্যাচে ৩৭ ও ৫৭ রানে জেতা আগা সালমানের দল এই ম্যাচ জিতে ধবলধোলাইয়ের তেতো স্বাদ দিয়েছে বাংলাদেশকে।

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। নিজেদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি পাকিস্তানের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।

আর বাংলাদেশ ১৯৬ রান করেও হারের স্বাদ পেল এ নিয়ে দ্বিতীয়বার। আগের অভিজ্ঞতা হয়েছে মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। শারজায় সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে করে লিটন দাসের দলকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল আমিরাত। এরপর তাদের কাছে সিরিজও হেরেছিল।

পরে ব্যাট করলে ফল কী দাঁড়ায়—নিজেরা নিজেদের এমন চ্যালেঞ্জ জানাতেই হয়তো আজ বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান। তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেনের সুবাদে বাংলাদেশ পেয়েছিল উড়ন্ত শুরু। দুই ওপেনার মিলে তোলেন ১১০ রান।

লাহোরের ব্যাটিং–স্বর্গে এমন শুরুর পর দলীয় সংগ্রহ অনায়াসেই ২০০ পেরোনোর কথা। কিন্তু শেষ দিকে পাকিস্তানের বোলাররা টপাটপ ৪ উইকেট তুলে নেওয়ায় সেটি হয়নি।

পাকিস্তানের ব্যাটিং দেখে এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয়নি ম্যাচটা তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আগের ম্যাচের নায়ক সাহিবজাদা ফারহান আজ দ্রুত আউট হলেও সাইম আইয়ুব আর মোহাম্মদ হারিসের ৫৩ বলে ৯২ রানের জুটি বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে দেয়।

সাইমের পর হাসান নেওয়াজও নিজের কাজটা করেই আউট হয়েছেন। তবে হারিস অধিনায়ক সালমানকে নিয়ে খেলা শেষ করেই মাঠ ছেড়েছেন। তিনে নামা হারিসের পাশে তখন ৪৬ বলে ১০৭ রান জ্বলজ্বল করছিল। পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে ওপেনারদের বাইরে এটিই যে প্রথম সেঞ্চুরি!

বাংলাদেশ দল এই সিরিজ খেলতে গিয়েছিল এক বিসিবি সভাপতির (ফারুক আহমেদ) সময়ে, দেশে ফিরছে আরেক সভাপতির ( ) সময়ে। গত কয়েক দিন নানা নাটকীয়তার পর বোর্ডের শীর্ষ পদে বদল এল। কিন্তু লিটনের দলের ভাগ্য আর বদলাল না!

বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৯৬/৬ (পারভেজ ৬৬, তানজিদ ৪২, হৃদয় ২৫, লিটন ২২, জাকের ১৫*; আব্বাস ২/২৬, হাসান ২/৩৮, শাদাব ১/২৬, ফাহিম ১/৪১)।

পাকিস্তান: ১৭.২ ওভারে ১৯৭/২ (হারিস ১০৭*, সাইম ৪৫, নেওয়াজ ২৬, সালমান ১৫*; মিরাজ ২/২৬, তানজিম ১/৩৬)।

ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোহাম্মদ হারিস।

ম্যান অব দ্য সিরিজ: মোহাম্মদ হারিস।

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ৩–০ ব্যবধানে জয়ী।

Lading . . .