প্রকাশ: ১১ আগস্ট, ২০২৫

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবলের বাছাইয়ে গ্রুপের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ড্র করতে পারলেই মূল পর্ব নিশ্চিত ছিল বাংলাদেশের। শুরুর দিকে আগে গোল করে চমকে দিয়েছিল পিটার বাটলারের শিষ্যরা। তবে কোরিয়াকে প্রথমার্ধে আটকে রাখতে পারলেও বিরতির পর ধসে পড়ে সবকিছু। তাতেই বড় ব্যবধানে হার নিশ্চিত হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের একচেটিয়া দাপটের মুখে বাংলাদেশ ৬-১ গোলে ম্যাচ হেরেছে। এই হারে এখন গ্রুপ সেরা হয়ে মূল পর্ব নিশ্চিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার। বাংলাদেশকে এখন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে অন্য গ্রুপের ম্যাচের দিকে। আটটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন রানার্সআপ সুযোগ পাবে মূল পর্বে খেলার।
ভিয়েনতিয়েনের জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে প্রথমার্ধে সমানতালে লড়াই করার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। কোরিয়া সবদিক থেকে এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে তেমন সুবিধা করতে পারছি না। বরং বাংলাদেশ প্রথম গোল করে তাদেরকে চমকে দেয়। দ্বিতীয় মিনিটেই দারুণ সুযোগ কড়া নেড়েছিল দুয়ারে। সতীর্থের লং পাস ধরে গোলকিপারকে একা পেয়েও গিয়েছিলেন সাগরিকা। কিন্তু বলের স্পর্শ জোরে হওয়ায় ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। ওই সময়ই সাগরিকা চিপ করতে পারলে গোল হতে পারতো।
১৪ মিনিটে তৃষ্ণা রানী বক্সের ঠিক ওপরে বল পেয়েছিলেন, কিন্তু দুই ডিফেন্ডারের বাধা পার হতে ব্যর্থ হন তিমুর লেস্তের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা এই ফরোয়ার্ড। পরের মিনিটেই বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। কারিগর সাগরিকা। তার পাস বাঁ প্রান্তে পেয়ে শান্তি মার্ডি বক্সে ঢুকে গায়ের সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে আড়াআড়ি পাস বাড়ান। বল গোলকিপারের গ্লাভস ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে দেন তৃষ্ণা।
১৯ মিনিটেই সমতায় ফেরে দক্ষিণ কোরিয়া। বাম দিক থেকে আসা আক্রমণ আটকাতে পোস্ট ছেড়ে কিছুটা এগিয়েছিলেন স্বর্ণা রানী মন্ডল। সতীর্থের পাস ধরে ফাঁকায় থাকা লি হেউন সহজেই খুঁজে নেন জাল।
একটু পর কোরিয়ানদের শট আটকে বাংলাদেশের ত্রাতা হন স্বর্ণা। ২৪ মিনিটে শান্তিকে তুলে নেন বাটলার। ৪৪ মিনিটে শিখা সিনহার বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শট গোলকিপারের হাতে জমা পড়ে। তাতে ৪৫ মিনিট শেষে ১-১ স্কোরলাইন রেখে ড্রেসিংরুমে যায় দুই দল।
বিরতির পর বাংলাদেশকে অসহায় বানিয়ে কোরিয়া একচেটিয়া দাপট দেখায়। ৫টি গোল আসে এই অর্ধে।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। বাম দিক দিয়ে ওঠা আক্রমণ আটকাতে ডিফেন্ডাররা সবাই মনোযোগী হওয়ায় ডান প্রান্তে ফাঁকা জায়গা পেয়ে যান চো হেইওং। সতীর্থের পাস ধরে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। বাংলাদেশেরও পথ হারানোর শুরু সেখান থেকে।
৫৭ মিনিটে স্বর্ণার দৃঢ়তায় ব্যবধান বাড়েনি। থ্রু পাস ধরে চো হেইওং একা পেয়ে গিয়েছিলেন স্বর্ণাকে। বাংলাদেশ গোলকিপার দারুণ ক্ষিপ্রতায় ছুটে এসে পথ আগলে দাঁড়ান, তাতে দক্ষিণ কোরিয়া অধিনায়ক পারেননি শট পোস্টে রাখতে। তিন মিনিট পর অবশ্য চো হেইওংই বাম দিক দিয়ে ঢুকে নিখুঁত শটে স্কোরলাইন করেন ৩-১। সফল স্পট কিকে ৮৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান লি হায়েউন। একটু পর হেডে আবারও জাল খুঁজে নেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দক্ষিণ কোরিয়াকে ষষ্ঠ গোল এনে দেন জিন হাইয়েরিন। এতেই বড় ব্যবধানে হার নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন