Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • অরল্যান্ডোর কাছে পাত্তাই পেল না মেসিবিহীন মায়ামি

অরল্যান্ডোর কাছে পাত্তাই পেল না মেসিবিহীন মায়ামি

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ১১ আগস্ট, ২০২৫

মেসিকে ছাড়া পুমাসের বিপক্ষে জিতলেও অরল্যান্ডোর কাছে বড় হার মায়ামির। ছবি: রয়টার্স।
মেসিকে ছাড়া পুমাসের বিপক্ষে জিতলেও অরল্যান্ডোর কাছে বড় হার মায়ামির। ছবি: রয়টার্স।

ম্যাচের প্রথম পাঁচ মিনিটেই দুই দলের একটি করে গোল। জমজমাট এক ম্যাচের আভাস। কিন্তু কিসের কী! শুরুর সেই উত্তেজনা ক্রমেই গেল মিলিয়ে। এক পর্যায়ে ম্যাচ হয়ে উঠল একতরফা। অরল্যান্ডো সিটির দাপুটে ফুটবলের সামনে দাঁড়াতেই পারল না লিওনেল মেসিকে ছাড়া খেলতে নামা ইন্টার মায়ামি।

মেজর লিগ সকারের ম্যাচটিতে ইন্টার মায়ামিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিল অরল্যান্ডো সিটি।

দুটি গোল করার পাশাপাশি একটি গোলে সহায়তা করেন অরল্যান্ডোর কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড লুইস মুরিয়েল। দুটি গোলে সহায়তা ও একটি গোল করেন আর্জেন্টাইন উইঙ্গার মার্তিন ওহেদা।

লিগস কাপের ম্যাচে চোট পাওয়া মেসি এই নিয়ে মায়ামির টানা দুই ম্যাচে খেলতে পারলেন না। ম্যাচের আগেই অবশ্য কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন, মেসিকে পাওয়া যাব না এই ম্যাচেও।

ম্যাচের ৫৪ শতাংশ সময় অবশ্য বল ছিল ইন্টার মায়ামির কাছে। তবে ম্যাচের ফল যা বলছে, মাঠে কার্যকারিতায় তেমনই ধারাল ছিল অরল্যান্ডো। ম্যাচজুড়ে আক্রমণে বিপর্যস্ত করে তোলে তারা মায়ামির রক্ষণকে। গোলে মোট ২১টি শট নেয় তারা, এর ১২টিই ছিল লক্ষ্যে!

চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেই ৮টি সেভ করে মায়ামিকে আরও বিব্রতকর পরাজয় থেকে রক্ষা করেন গোলকিপার অস্কার উস্তারি।

জোড়া গোল করার পাশাশি আরেকটি সহায়তা করেন লুইস মুরিয়েল। ছবি: রয়টার্স।
জোড়া গোল করার পাশাশি আরেকটি সহায়তা করেন লুইস মুরিয়েল। ছবি: রয়টার্স।

মেসি না খেললেও জর্দি আলবা, রদ্রিগো দে পল, সের্হিও বুসকেতস, লুইস সুয়ারেসের মতো তারকারা ছিলেন সবাই। কিন্তু জ্বলে উঠতে পারেননি কেউ।

ঘরের মাঠে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় অরল্যান্ডো। আলবার ভুলে বল পেয়ে দারুণ ডামি করে দুর্দান্ত থ্রু বল বাড়ান ওহেদা। বল ধরে সঙ্গে থাকা ডিফেন্ডারকে ছিটকে বল জালে পাঠান মুরিয়েল।

পরের মিনিটেই আরেকটি সুযোগ পান এই কলম্বিয়ান। এবার তার হেড চলে যায় সোজাসুজি গোলকিপার উস্তারির হাতে।

পঞ্চম মিনিটেই সমতায় ফেরে মায়ামি। রক্ষণে বল পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেনি অরল্যান্ডো। হাওয়ায় থাকা বলে বক্সের মাথা থেকে দর্শনীয় এক ভলিতে জালে জড়ান ইয়ানিক ব্রাইট। মেজর লিগ সকারে এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের প্রথম গোল এটি।

অনেক আক্রমণ চালিয়েও প্রথমার্ধে আর গোল পায়নি অরল্যান্ডো। একবার বল লাগে গোলপোস্টে, বারবার বাঁধা হয়ে দাঁড়ান গোলকিপার উস্তারি। দ্বিতীয়ার্ধে তারা অনেকটুকুই পুষিয়ে দেয় তা।

৫০তম মিনিটে বক্সের ভেতর দুর্দান্ত স্কিল দেখিয়ে প্রায় একক প্রচেষ্টায় গোল করেন মুরিয়েল। আট মিনিট পর দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করেন ম্যাচজুড়ে অসাধারণ খেলা ওহেদা।

৬৭তম মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে চোখধাঁধানো এক শট নেন সুয়ারেস। শেষ মুহূর্দে দারুণ দক্ষতায় তা ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন অরল্যান্ডোর গোলকিপার।

৮৮তম মিনিটে অফসাইড ফাঁদ এড়িয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে শট নেন অরল্যান্ডোর মার্কো পাসালিচ। মায়ামির গোলকিপার উস্তারি তা ফিরিয়ে দেন। তবে ফিরতি বল ধরে এক ডিফেন্ডারের পাশ দিয়ে চমৎকার ফিনিশিংয়ে গোল করে পাসালিচ নিশ্চিত করেন অরল্যান্ডোর বড় জয়।

এই নিয়ে ফ্লোরিডা ডার্বিতে দুই ম্যাচেই তিন গোলের ব্যবধানে মায়ামিকে হারাল অরল্যান্ডো। ঘরের মাঠে মায়ামির বিপক্ষে সবমিলিয়ে আট ম্যাচ খেলে একটিও হারেনি তারা।

২৬ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় অরল্যান্ডো আছে চারে। ৪২ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে মায়ামি, ম্যাচ যদিও খেলেছে তারা কেবল ২৩টি। ২৬ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিলাডেলফিয়া।

Lading . . .