Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • ‘এটা ফুটবল ম্যাচ ছিল কিনা নিশ্চিত নই’

‘এটা ফুটবল ম্যাচ ছিল কিনা নিশ্চিত নই’

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট, ২০২৫

লিভারপুল কোচ আর্না স্লট। ছবি: রয়টার্স।
লিভারপুল কোচ আর্না স্লট। ছবি: রয়টার্স।

ম্যাচের প্রায় ৬০ শতাংশ সময়ই খেলায় ছিল না বল। কিছুক্ষণ পরপরই দেখে গেছে ফ্রি-কিক, কর্নার কিংবা থ্রো ইন। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে সেট-পিসে ঠাসা লড়াইকে ফুটবল ম্যাচ মনে হয়নি লিভারপুল কোচ আর্না স্লটের কাছে। তবে শেষ পর্যন্ত জিততে পেরে খুশি তিনি।

নিউক্যাসলের মাঠ সেন্ট জেমস পার্কে সোমবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতে নেয় লিভারপুল।

ম্যাচটিতে দুই দল মিলিয়ে ৩২টি ফাউল করে। যা চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর মধ্যে পাঁচটিতে হলুদ কার্ড ও একটিতে লাল কার্ড দেখানো হয়। কর্নার হয় মোট ৮টি, যার ৭টি পায় নিউক্যাসল।

খেলাধুলার তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করা অপ্টা জানিয়েছে, এই ম্যাচে কেবল ৪০.৮ শতাংশ সময় বল খেলায় ছিল। যা ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির পর প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচে সর্বনিম্ন।

ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসে লিভারপুল কোচ স্লট বলেন, এই লড়াইয়ে কৌশলের তেমন কোনো ছোঁয়া ছিল না।

“এটা ফুটবল ম্যাচ ছিল কিনা, আমি নিশ্চিত নই। ম্যাচে কেবল সেট-পিসের পর সেট-পিস আর লম্বা থ্রো দেখা গেছে। খেলায় কৌশলের তেমন কিছু ছিল না। তবে আমরা যেভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করেছি, সেটা আমার ভালো লেগেছে।”

ম্যাচের শুরুতে ছন্দ পেতে ভুগলেও রায়ান গ্রাভেনবার্চের গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে লিভারপুল। ৩৫তম মিনিটে কোডি হাকপোর পাসে বক্সের বাইরে থেকে গোলটি করেন নেদারল্যান্ডসের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

“প্রথম আধ ঘণ্টা, ৪৫ মিনিট খুবই কঠিন ছিল। আমরা মোটেও ভেঙে পড়িনি এবং ১-০ গোলে এগিয়ে যাই।”

গোল হজমের পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বড় ধাক্কা খায় নিউক্যাসল। লিভারপুল অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইককে পেছন থেকে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন অ্যান্থনি গর্ডন।

প্রতিপক্ষের একজন কম থাকার সুযোগটি দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের ২৩ সেকেন্ডের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিভারপুল। বক্সে হাকপোর পাসে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন উগো একিটিকে।

কিন্তু হাল ছাড়েনি নিউক্যাসল। ৫৭তম মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে তাদেরকে লড়াইয়ে রাখেন ব্রুনো গিমারাইস। ওই গোলের পর আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠা দলটি নির্ধারিত সময়ের ২ মিনিট আগে সমতায় টানা গোলও পেয়ে যায়।

মাঝমাঠের কাছাকাছি থেকে নিউক্যাসল গোলরক্ষক পোপের ফ্রি-কিকে বক্সের বাইরে লিভারপুলের এক ডিফেন্ডারের পিঠে হালকা ছুঁয়ে যাওয়া বল ছুটে গিয়ে জালে পাঠান উইলিয়াম ওসুলা। একজন কমে যাওয়া নিউক্যাসলের ফ্রি-কিকগুলো নেন গোলরক্ষক।

সেটিই উল্লেখ করে স্লট বলেন, এমন পরিস্থিতিতে একজন বেশি থাকার সুবিধা কাজে লাগানোর সুযোগ ছিল না তাদের।

“আশা করা হচ্ছিল, নিউক্যাসল ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া আমাদের জন্য বড় সুবিধা হবে, কিন্তু যখন একজন গোলরক্ষক প্রতিটি ফ্রি-কিক নেন, তখন একজন খেলোয়াড় বেশি থাকলেও খুব একটা ভালো কিছুর আশা (সুবিধা) থাকে না। সেই কারণেই ২-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করা এত কঠিন ছিল।”

ম্যাচ যখন মনে হচ্ছিল ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে তখনই লিভারপুলের ত্রাতা হয়ে আসেন ১৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড রিও নুমোয়া। ৯৬তম মিনিটে বদলি নেমে ১০০তম মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন লিভারপুলের এই বিস্ময় বালক।

Lading . . .