রোমাঞ্চকর জয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপার দ্বারপ্রান্তে ইংল্যান্ড
প্রকাশ: ২৮ জুলাই, ২০২৫

স্কোরলাইন দেখে বুঝার উপায় নেই ম্যাচে কি পরিমাণ রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। তাই তো ম্যাচের পর ইংল্যান্ড কোচ ম্যাচটিকে আখ্যা দিয়েছেন ‘সিনেমা’ হিসেবে। নারীদের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও ইতালি। মঙ্গলবার নাটকীয় এই ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ২-১ গোলে জিতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে পৌঁছে গেছে ইংলিশ মেয়েরা।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পুরো ম্যাচে বল আধিপত্যে এগিয়ে থাকে ইংল্যান্ডই। ৫৯ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রাখা ইংলিশ নারীরা ২৪টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে রাখে ৭টি। বিপরীতে ১১টির মধ্যে ৫টি শট লক্ষ্যে রাখতে পারে ইতালি। ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে বারবারা বোনানসিয়ার গোলে এগিয়ে যায় ইতালিয়ান মেয়েরা। ডানপ্রান্ত থেকে সতীর্থের পাস পেয়ে গোলপোস্টের একেবারে মুখ থেকেই লক্ষ্যভেদ করেন এই ৩৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ইতালিয়ান মেয়েরা এই লিড ধরে রাখে নির্ধারিত সময়ের যোগ করা ৫ মিনিট পর্যন্ত। তখন পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, আর বুঝি ইংল্যান্ডের টানা দ্বিতীয়বার ইউরোপজয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে না। কিন্তু এরপর যা হয়েছে তা অবিশ্বাস্যই। যোগ করা ষষ্ঠ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান ইংল্যান্ডের মিশেল আগিয়েমাং। গ্যালারি ফেটে পড়ে উল্লাসে। এই গোলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে এগোচ্ছে, তখন পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড।
১১৯তম মিনিটে ক্লোয়ি কেলির গোলে শিরোপার দুয়ারে পৌঁছে যায় তারা। শটটি প্রথমে ইতালির গোলকিপার লরা গিউলিয়ানি ফিরিয়ে দিলেও রিবাউন্ড কিকে সেটি জালে জড়ান বদলি হিসেবে নামা কেলি। বাসেলে আগামী রোববার ফাইনালে ইংলিশ মেয়েদের প্রতিপক্ষ জার্মানি অথবা স্পেন। নাটকীয় এই জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে কোচ সারিনা ভাইগম্যান বলেন, ‘এই ঘটনা নিয়ে আমরা কোনো একদিন সিনেমা বানাব। সত্যি বলতে, এটি যেন সিনেমাই ছিল। অবিশ্বাস্য একটি ব্যাপার!।’ এদিনের জয়ে টানা তিনটি ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংলিশ মেয়েরা। এর মধ্যে ২০২২-এ ইউরো ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে শিরোপা জেতার পরের বছর বিশ্বকাপে স্পেনের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় তারা। এ প্রসঙ্গে শেষ মুহূর্তের জয়ের নায়ক কেলি বলেন, ‘টানা তিনটি ফাইনাল। আমরা আরও চাই। দলটি দৃঢ়তা দেখিয়েছে। আমরা লড়াই করে ফিতে এসেছি এবং আশা করি, আমরা নিজেদের কাজটাকে আরও সহজ করে তুলতে পারব।’
এবারের ইউরোতে প্রত্যাবর্তনের এটিই প্রথম গল্প নয় ইংল্যান্ডের। জুরিখের কোয়ার্টার ফাইনালেও সুইডেনের বিপক্ষে ২৫ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ইংলিশ মেয়েরা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ চলে যায় পেনাল্টি শুটআউটে। পরে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলের জয়ে সেমি নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন