ইন্টার মিলান ছেড়ে আসার দুই দিন পরই নতুন ঠিকানা চূড়ান্ত করে ফেললেন সিমোনে ইনজাগি। সাম্প্রতিক গুঞ্জনকে সত্যি করে ইতালিয়ান কোচ দায়িত্ব নিলেন আল-হিলালের।

সৌদি আরবের ক্লাবটি বুধবার সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা করে, ‘চলে এসেছেন ইতালিয়ান জিনিয়াস।’

আল-হিলালের সঙ্গে ইনজাগির চুক্তি দুই বছরের। পারিশ্রমিকের আনুষ্ঠানিক অঙ্ক জানা যায়নি। তবে সৌদি আরবে পাড়ি জমানো অন্য বড় ফুটবলার ও কোচদের মতো তার পারিশ্রমিকও চোখধাঁধানো হওয়ার কথা। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমের খবর, অঙ্কটা হতে পারে প্রতি মৌসুমে ২ কোটি ইউরোর বেশি। সেটা এমনকি হতে পারে ৩ কোটি ইউরোর কাছাকাছিও।

সাবেক এই ফরোয়ার্ড তার দুই যুগের খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানেন ২০০৮ সালে। পরে কোচিংয়ে নাম লেখিয়ে শীর্ষ পর্যায়ে কাজ শুরু করেন ২০১৬ সালে লাৎসিওর দায়িত্বে। ৫ বছর ছিলেন তিনি ক্লাবটিতে। জিতেছেন একটি ইতালিয়ান কাপ ও দুটি ইতালিয়ান সুপার কাপ।

২০২১ সালে তিনি দায়িত্ব নেন ইন্টার মিলানের। সেখানে তিনি জিতেছেন একটি সেরি আ, দুটি ইতালিয়ান কাপ ও তিনটি ইতালিয়ান সুপার কাপ।

তার কোচিংয়ে তিন মৌসুমের মধ্যে দুবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলে ইন্টার মিলান। হারতে হয় দুবারই ২০২৩ সাল তারা হেরে যায় ম্যানচেস্টার সিটির কাছে, এবার ফাইনালে বিধ্বস্ত হয় পিএসজির কাছে।

এই মৌসুমে এক পর্যায়ে ট্রেবল জয়ের হাতছানি ছিল ইন্টার মিলানের সামনে। কিন্তু ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে তারা হেরে যায় নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানের কাছে। সেরি আ-তে শেষ পর্যন্ত রানার্স আপ হয় নাপোলির এক পয়েন্ট পেছনে থেকে। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পিএসজির কাছে উড়ে গিয়ে ট্রফিশূন্য মৌসুম কাটানোর পর সেখানে তার বিদায়ঘণ্টা বেজে যায়। পারস্পরিক সমঝোতায় ক্লাব ছাড়লেও আদতে তা বরখাস্তের মতোই। যদিও কদিন আগে ইন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই কোচকে খুব করে ধরে রাখতে চায় তারা।

নতুন যে ক্লাবে তিনি পা রাখলেন, সৌদি ফুটবলে তাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ। রেকর্ড ১৯ বার তারা সৌদি লিগের শিরোপা জিতেছে, এশিয়ার সেরা হয়েছে চারবার।

ইনজাগির অভিযান শুরু হবে কদিন পরই ক্লাব বিশ্বকাপ দিয়ে। সেখানে তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ রেয়াল মাদ্রিদ, আগামী ১৮ জুন ফ্লোরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে।