Advertisement

মিয়ানমারকে হারানোর লক্ষ্য মেয়েদের

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ১ জুলাই, ২০২৫

মিয়ানমারকে হারানোর লক্ষ্য মেয়েদের
মিয়ানমারকে হারানোর লক্ষ্য মেয়েদের

এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে দুর্দান্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ। শক্তিশালী বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে আত্মবিশ্বাসের ডানা মেলেছে পিটার বাটলারের দল। এবার সামনে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা—স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে লড়াই। মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন বুকে নিয়ে আগামীকাল মাঠে নামবে সাবিনা-কৃষ্ণারা।

ফিফা র‍্যাংকিংয়ে ৫৫ নম্বরে থাকা মিয়ানমার যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তবু ভয় নয়, মাঠে নামার আগে আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তারা জানিয়ে দিয়েছেন—জয়ের লক্ষ্য নিয়েই খেলতে নামবেন।

আজ ম্যাচপূর্ব অনুশীলন শেষে জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড স্বপ্না রানী বলেন, “কাল আমাদের বড় ম্যাচ। সবাই খুব মনোযোগ দিয়ে অনুশীলন করছি। কোচ যেভাবে গেম প্ল্যান দিবেন, আমরা সেটাই মাঠে প্রয়োগ করব। আশা করছি ভালো একটা ম্যাচ হবে। ”

মিডফিল্ডার সুরভী আকন্দ প্রীতিও কোচের কৌশলে আস্থা রাখছেন, “আমরা সবাই অনেক ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছি। কোচ যেভাবে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, সেটা মাঠে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব। সুযোগ পেলে ভালো কিছু উপহার দিতে চাই,” বলেন তিনি।

দলের অভিজ্ঞ মুখ শাহেদা আক্তার রিপা জানালেন, এবার শুধু ম্যাচ জেতাই নয়, মূল পর্বে কোয়ালিফাই করাই দলের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, “আমরা সবাই ফিট এবং আত্মবিশ্বাসী। মাঠে নিজের সর্বোচ্চটা দিতে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ জয় পেলে আমরা মূল পর্ব নিশ্চিত করতে পারব। সবার কাছে দোয়া চাই। ”

এর আগে কখনও এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ নারী দল। বাছাই পর্বেও অতীতে হতাশাই ছিল সঙ্গী—৫ ম্যাচে ২৫ গোল হজম, একটি গোলও না পাওয়া। সেই দলেরাই এবার প্রথম ম্যাচে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে।

মিয়ানমারও নিজেদের প্রথম ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে ৮-০ গোলে হারিয়ে ফর্মে রয়েছে। তাই আগামীকালের লড়াই মূলত গ্রুপ শীর্ষস্থানের জন্য সরাসরি ফাইনাল হয়ে উঠেছে। জয় পেলে শুধু শীর্ষে ওঠা নয়, শেষ ম্যাচে নির্ভারভাবে মাঠে নামার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।

দুইবারের সাফ চ্যাম্পিয়ন এই দল এবার এশিয়ার মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে চায়। কোচ বাটলারের অধীনে নতুন আত্মবিশ্বাস, ফিটনেস ও ট্যাকটিক্সে প্রস্তুত এই দল এখন শুধু স্বপ্ন দেখছে নয়—স্বপ্ন ছোঁয়ার মতো সাহসও দেখাচ্ছে।

এআর/এমএইচএম

আরও পড়ুন

Lading . . .