প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

হংকংয়ের বিপক্ষে জয়ের সংখ্যা বেড়েছে বাংলাদেশের, কিন্তু পারফরম্যান্সে সেই আগ্রাসনটা দেখা গেল না। শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে হংকংকে ১৪ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে হারালেও প্রশ্ন উঠছে, এটা কি যথেষ্ট ছিল? বিশেষ করে যখন একই প্রতিপক্ষকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান, তখন বাংলাদেশের জয়টা অনেকটাই ফিকে।
বাংলাদেশের রান তোলার গতি আটকে দেয় তাওহীদ হৃদয়ের মন্থর ইনিংস। ৩৬ বলে ৩৫ রান—স্ট্রাইকরেট মাত্র ৯৭.২২। জয় এলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে পড়ছে টাইগাররা। আফগানিস্তান যেখানে উড়ছে +৪.৭০ রানরেটে, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান +১.০০১।
ব্যাট হাতে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও নিজের সীমাবদ্ধতা মেনে নিচ্ছেন তাওহীদ হৃদয়।
ম্যাচশেষে সোজাসাপ্টা মন্তব্য, “আমার হানিমুন পিরিয়ড শেষ, এখন চ্যালেঞ্জের সময়। হয়তো ফল আসছে না, কিন্তু আমি চেষ্টা করছি, পরিশ্রম করছি। ”
একসময় ঝলমলে শট খেলেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতেন হৃদয়। কিন্তু এখন টানা ১৩ ইনিংস ধরে ফিফটির দেখা নেই। প্রতিপক্ষ বোলাররা ধরতে পেরেছে তার দুর্বলতা, আর তিনি সেটা কাটিয়ে উঠতে লড়াই করছেন।
হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচটা আরও আগেই শেষ করা যেত, এ কথা নিজেও স্বীকার করেছেন তিনি।
হৃদয় বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা ছিল দ্রুত ম্যাচ শেষ করার। চেষ্টা করেছি, কিন্তু বল ব্যাটে লাগছিল না। দিনশেষে জয়টাই বড় কথা, তবে আরও দ্রুত হলে ভালো হতো। ”
গ্রুপটা ‘গ্রুপ অব ডেথ’। এখানে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান আর শ্রীলঙ্কা- তিন দলই সমান শক্তিশালী। শুধু জয় নয়, নেট রানরেটও নির্ধারণ করে দেবে ভাগ্য। সেদিক থেকে আফগানিস্তান অনেক এগিয়ে।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ শনিবার, একই ভেন্যুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। শক্ত প্রতিপক্ষকে হারাতে হলে এখনই টপ অর্ডারের ছন্দে ফেরা আর ব্যাটিংয়ের গতি বাড়ানো সবচেয়ে জরুরি।
এফবি
আরও পড়ুন