Advertisement

জয় নিয়েই ফিরতে চান রহমতরা

মানবজমিন

প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

অক্টোবরে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে হংকংয়ের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের জোড়া ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যার প্রস্তুতি সারতে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে এসেছে জামাল-তপুরা। উদ্দেশ্য নেপালের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি খেলে নিজেদের হংকং ম্যাচের জন্য তৈরি করা। যার একটি এরইমধ্যে খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ দল। শনিবার নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ওই ম্যাচে কোনমতে হার এড়ায় কাবরেরার শিষ্যরা। আগামীকাল দ্বিতীয় ম্যাচ। তার আগে গতকাল কোনো অনুশীলন করেনি বাংলাদেশ দল। হোটেল ক্রাউন প্লাজায় ছোট্ট জিমে সকালে ঘাম জড়িয়ে সারাদিন বিশ্রামে কাটান ফুটবলাররা। প্রবাসী তারকা হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহমিদুল ইসলামদের নিয়ে খেলা সবশেষ ম্যাচগুলোতে দল মেলে ধরেছিল গতিময় ফুটবল। যার দেখা মেলেনি নেপাল ম্যাচে। এর অন্যতম কারণ হতে পারে হামজা-শমিতদের অনুপস্থিতি। তবে কাবরেরা এসব মানতে চাইছেন না। আগের দিন ম্যাচ শেষে কাবরেরা বলেছিলেন, ‘কে আছে কে নেই সেটা আসল কারণ না। শুরুতেই আমি বলেছি, এটাই আমার দল। এ মুহূর্তে আমাদের সাথে যারা আছে, তারা

নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ অতীতে অনেকবার দিয়েছে। তারা লড়াকু। অবশ্যই, যখন আমাদের স্কোয়াডে সবাই থাকবে, আমরা আরও শক্তিশালী হবো।’ গতকাল টিম হোটেলে কোচের সুরেই কথা বললেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। সেখানে তিনি নেপালে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘হংকং ম্যাচের আগে আমাদের হাতে প্রায় দেড় মাসের মতো সময় আছে। হামজা-শমিত তারা সামর্থ্যবান, আশা করি তারা অল্প সময়ে দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে। আমার মনে হয় কোচ ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ওই ম্যাচ নিয়ে আমাদের কী পরিকল্পনা হয়তো তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আমার মনে হয়
না এসব আমাদের দলের মধ্যে কোনো প্রভাব পরবে।’ বাংলাদেশ দলের মূল সমস্যা স্কোরিং। নেপাল ম্যাচেও যে সমস্যা দেখা গেছে আরো প্রকটভাবে। সেটা কাটিয়ে ওঠার জন্য কোচ কাজ করছেন জানিয়ে রহমত মিয়া বলেন, ‘প্রতিটা ম্যাচে, প্রতিটা দিনে উন্নতি করার সুযোগ থাকে। প্রত্যেক খেলোয়াড় চেষ্টা করে নিজেদের জায়গা থেকে মাঠে ভালো করার। তো আমরা এখানে আসার আগে যেই অনুশীলন করেছিলাম সেটাই চেষ্টা ছিল ম্যাচে প্রতিফলন করার। কিন্তু ফলাফল নির্ভর করে ভাগ্যর ওপরও। আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের ফরোয়ার্ডরা আলাদাভাবে চেষ্টা করছে স্কোর করার জন্য। আমাদের অনেক ড্রিল-সেট পিস করানো হয়েছে। আমরা সুযোগ তৈরি করছি তবে গোল পাচ্ছি না।’ যাদের নিয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে একাদশ সাজাবেন কোচ তাদের অনেকেই নেই এই দলে। ক্লাব থেকে ছুটি মেলেনি কানাডিয়ান লীগের তারকা শমিত সোমের। হালকা ইনজুরিতে আছেন ইংলিশ লীগে খেলা হামজা চৌধুরী। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে আছেন শেখ মোরসালিন, ফাহমিদুল ইসলাম, আল আমিনের মতো তারকারা। তাদের ছাড়া কিভাবে এদের দিয়ে হংকং ম্যাচের পরিকল্পনা সাজাবেন কাবরেরা। এমন প্রশ্নের জবাবে মোহামেডানের এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের মূল দলের অনেকে নেই, তবে গেল চার-পাঁচ বছর ধরে দলের সাথে রয়েছে তারা সবাই আছে। মুলত এই ম্যাচ কিংবা দেশে অনুশীলন ক্যাম্প সব কিছুর মূল লক্ষ্যই কিন্তু আগামী মাসের হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচকে ঘিরে, ওই ম্যাচে কিভাবে ভালো করতে পারি। এবং এখান থেকে যদি ভালো ফলাফল নিয়ে যেতে পারি এইটা আমাদের জন্য বুস্ট আপ হবে হংকংয়ের বিপক্ষের ম্যাচে।’ হংকংয়ের মতো দলের মুখোমুখি হওয়ার আগে নেপালের ম্যাচ নিয়ে রহমত মিয়া বলেন, ‘নেপাল কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলেছে, কম্পিটিটিভ ম্যাচ খেলেছে কিছুটা হংকংয়ের সাথে মিল রয়েছে। পাশাপাশি নেপালের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাটিতে এসে খেলা সহজ নয়। যারা আগে এসেছে এবং খেলেছে তারা বলতে
পারবে। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের দল ভালো করছে এবং সামনেও ভালো করবে।’

শুক্রবারের ম্যাচে গ্রোয়েন ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে পারেননি দলের নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা। আগামীকালও তার খেলার সম্ভাবনা কম। তার জায়গায় প্রথম ম্যাচে অভিষেক হওয়া সুজন হোসেন খারাপ করেননি। ওই ম্যাচ ভালোই খেলেছেন জামাল ভূঁইয়া, রহমত মিয়া, তপু বর্মণ। তবে তারেক কাজী, সুমন রেজা. সিনিয়র সোহেল রানা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সমর্থকদের। রহমত বলেন, ‘রাতে ম্যাচ খেলে আসার পর আজ (গতকাল) সকাল থেকে ট্রিটমেন্ট, রিকোভারী সেশন, সুইমিং, জিম ছিল। এখন পর্যন্ত প্রথম ম্যাচের ফিডব্যাক দেওয়া হয়নি। আমরা রিকোভারি সেশন শেষ করে যখনই সময় পাবো তারা আমাদের জানাবেন আসলে আমাদের কোথায় কোথায় ঘাটতি রয়েছে আর কোথায় আরও উন্নতি করতে পারি। তবে আমার বিশ্বাস আগামীকাল জয় নিয়েই দেশে ফিরতে পারবো আমরা।’

আরও পড়ুন

Lading . . .