প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ইংল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটিতে জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ম্যাচে রোববার রানের পাহাড় গড়ে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ৪১৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে পরে দুর্দান্ত বোলিং করেন জফরা আর্চার ও আদিল রশিদ। ২১তম ওভারের মধ্যে স্রেফ ৭২ রানেই গুঁড়িয়ে যায় প্রোটিয়ারা। ফলে ৩৪২ রানে জিতে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের জয়ের ইতিহাস নতুন করে লেখে ইংলিশরা।
এ সংস্করণে এতদিন এই রেকর্ডের মালিক ছিল ভারত। ঘরের মাঠে ২০২৩-এ শ্রীলঙ্কাকে ৩১৭ রানে হারায় ভারতীয়রা। আর ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয় ছিল ২৪২ রানে, ২০১৮তে নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ওয়ানডেতে ৭২ রান দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ১৯৯৩তে সিডনিতে অজিদের বিপক্ষে করা ৬৯ রান এখনও সর্বনিম্ন। সাউদাম্পটনে জ্যাকব বেথেল ও জো রুটের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৪১৪ রান করে ইংল্যান্ড। রান তাড়ায় অবশ্য ব্যাট করতে পারে প্রোটিয়াদের ১০ জন। দলের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা চোটের কারণে ব্যাট হাতে নিতে পারেননি।
রান তাড়ায় সফরকারীদের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করবিন বসচের (২০)। এছাড়া দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেন কেবল দুজন, ত্রিস্তান স্টাবস (১০) ও কেশভ মহারাজ (১৭)। অন্যদিকে, ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ ম্যাচেই অন্তত ফিফটি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়া ম্যাথু ব্রিটস্কি এদিন করতে পারেন স্রেফ ৪ রান। ফলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ৬ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ডে সামান্য দূরে থামতে হলো ব্রিটস্কিকে। তারই স্বদেশি ইয়ানেমান ম্যালান প্রথম ৬ ইনিংসে করেন ৪৮৩ রান। ব্রিটস্কি থামেন ১৬ রান দূরে, ৪৬৭ রানে। প্রোটিয়াদের থামাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন আর্চার। ৯ ওভারে ৩টি মেডেনসহ স্রেফ ১৮ রানের খরচে তুলে নেন ৪ উইকেট। ৩.৫ ওভার বল করে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রশিদ।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪১৪ রান করে ইংল্যান্ড, যা তাদের পঞ্চম সর্বোচ্চ। এ নিয়ে ওয়ানডেতে সাতবার চারশ বা তার বেশি করে ভারতের পাশেই বসল ইংলিশরা। এ দুদলের চেয়ে বেশিবার চারশ ছাড়ানো ইনিংস আছে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকারই (৮)। পেশাদার ক্রিকেটে প্রথম শতক হাঁকিয়ে বেথেল থামেন ১১০ রানে। ১০০ রান করেন জো রুট। এ সংস্করণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় উইকেটের জুটিতে দুজন মিলে করেন সর্বোচ্চ ১৮২ রান।
আগামী ১০ই সেপ্টেম্বর থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুদল।
আরও পড়ুন