Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ইংল্যান্ড সফরের লক্ষ্য ‘বিশ্বকাপ’

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ইংল্যান্ড সফরের লক্ষ্য ‘বিশ্বকাপ’

মানবজমিন

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল আজ ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে। সেখানে তারা পাঁচ ম্যাচের একটি যুব ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। গতকাল এই সফরকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একাডেমি ভবনে ফটোসেশনে অংশ নেয় যুবদলের ক্রিকেটাররা। আগামী বছর জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এই সফরে যাচ্ছে দলটি। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ নাভিদ নেওয়াজ এবং অধিনায়ক হাকিম তামিম এ সফর নিয়ে তাদের ভাবনা ও লক্ষ্য তুলে ধরেন। প্রত্যাশা নিয়ে নাভিদ বলেন, ‘মূল কারণ হলো ভিন্ন পরিবেশে মানিয়ে নেয়া। আমরা কেন আগে আফ্রিকা এবং এখন ইংল্যান্ডে সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তার প্রধান কারণ হলো খেলোয়াড়দের বিভিন্ন ধরনের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা দেয়া এবং তাদের প্রতিক্রিয়া ও পারফরম্যান্স যাচাই করা। এর ফলে, বিশ্বকাপের সময় ঘনিয়ে এলে খেলোয়াড়রা বিভিন্ন কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রস্তুত থাকবে। এটাই মূল কারণ।’ যুবদলের প্রধান কোচ স্পষ্ট করে জানান, বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে কিছু ভিন্ন কম্বিনেশনও পরখ করে দেখতে চান, যেখানে একজন অতিরিক্ত পেসারের বিকল্প কাজে আসতে পারে। নাভিদ নেওয়াজ বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন কম্বিনেশন চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয়, পিচ এবং কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করে আমরা দুই থেকে তিনটি ভিন্ন কম্বিনেশন পরখ করে দেখতে চাই। আপনি যদি দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা দল এবং জিম্বাবুয়েতে খেলা দলের মধ্যে পার্থক্য দেখেন, আমরা জিম্বাবুয়েতে সব সময় একজন অতিরিক্ত ফাস্ট বোলার খেলিয়েছি। কারণ সেখানকার কন্ডিশন সেটাই দাবি করে।’ এ ছাড়াও সফরের আগে দলে কিছু ইনজুরির সমস্যা নিয়েও কোচ তার চিন্তার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু ইনজুরির সমস্যাও আছে। ইমনের সাইড স্ট্রেইন হয়েছে এবং সে এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। তাই অন্য খেলোয়াড়দের নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে। আমরা এখনো কোনো নির্দিষ্ট দল ঠিক করিনি, তবে আমাদের একটি বড় স্কোয়াড আছে এবং আমরা সুযোগ খোলা রেখেছি যাতে প্রত্যেকে পারফর্ম করে তাদের জায়গা করে নিতে পারে।’ অন্যদিকে, দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম এ সফরে নিজেদের সেরাটা দিয়ে অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার জন্য মুখিয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘এই সফরগুলো দলকে সেরা কম্বিনেশন খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। এখন আমাদের কম্বিনেশন দেখলে বোঝা যাবে, কিছু ইনজুরি আছে যেমন ইমনের (ইনজুরড)। এতে নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ তৈরি হয়েছে। স্যার (নেওয়াজ) নিজেও আমাদের এটা বলেছেন। এরপর সম্ভবত অক্টোবরে আফগানিস্তান সিরিজ আছে। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সেটাও আমাদের ভালো অভিজ্ঞতা দেবে।’ যদিও আগামী বছরের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে কন্ডিশন ইংল্যান্ডের থেকে অনেকটাই ভিন্ন। তবুও তামিম বিশ্বাস করেন, এই সফর দলের উন্নয়নে মূল্যবান ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডে খেলা আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা দেবে। হয়তো বিশ্বকাপ এখানে হবে না, কিন্তু ভবিষ্যতে আমরা যখন এইচপি (হাই পারফরম্যান্স) ইউনিট বা অন্য কোনো দলের হয়ে সফর করবো, তখন এই অভিজ্ঞতা আমাদের সাহায্য করবে।’

আরও পড়ুন

Lading . . .