দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড জয়ের দিন বিব্রতকর অভিষেক ইংলিশ পেসারের
প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ইংল্যান্ড সফরের প্রথম ওয়ানডেতে রেকর্ডগড়া জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। লিডসের হেডিংলিতে ইংলিশদের দেয়া ১৩২ রানের লক্ষ্য প্রোটিয়ারা ছুঁয়ে ফেলে ২০.৫ ওভারেই, ৭ উইকেটে হাতে রেখে। এ সংস্করণে ঘরের বাইরে এত বেশি বল (১৭৫) হাতে রেখে জয়ের কীর্তি নেই দক্ষিণ আফ্রিকার। ইংল্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ দ্য হ্যানড্রেডে দুর্দান্ত বোলিং করে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া সনি বেকার মঙ্গলবার বল হাতে গড়েন এক বিব্রতকর রেকর্ড। তবে ম্যাচের পর তাকে দারুণভাবে আগলে রাখলেন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক।
প্রোটিয়াদের রান তাড়ায় সবচেয়ে বড় ঝড় যায় অভিষিক্ত পেসার সনি বেকারের ওপর দিয়ে। স্রেফ ৭ ওভারে এ তরুণ পেসার রান দেন ৭৬, যা ওয়ানডে অভিষেকে কোনো ইংলিশ পেসারের সবচেয়ে খরুচে বোলিং। এমনকি, বেকারের ১০.৮৫ ইকোনমি রেটই বর্তমানে ওয়ানডে ক্রিকেটে অন্তত ৭ ওভার করা কোনো অভিষিক্ত বোলারের সর্বোচ্চ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ওভারেই এইডেন মার্করামের কাছে তিনটি চার হজম করে বেকার রান দেন ১৪। পরের ওভারে সেই মার্করামের কাছেই আবার খান দুই ছক্কা, এক চার। দুই ওভারেই রান খরচ ৩৪। প্রথম চার ওভারে এ ২২ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার রান দেন ৫৬। শেষ পর্যন্ত বেকার থামেন ৭ ওভারে ৭৬ রানের খরচে, থাকেন উইকেটশূন্য।
তবে তরুণ পেসার যাতে ভেঙে না পড়েন, তাই তাকে দারুণভাবেই আগলে রাখলেন অধিনায়ক ব্রুক। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘সবাই তার পাশে থাকবে, এই দলটির ধরনই এমন। আমরা এতটাই ঘনিষ্ঠ, সবাই পরস্পরের কাছের সঙ্গী। খেলার বাইরেও অনেকটা সময় আমরা একসঙ্গে কাটাই। সে সবাইকে তার পাশে পাবে।’
প্রথম উইকেটেই ১২১ রানের জুটিতে দলকে দ্রুতই জয়ের কাছে গিয়ে রাখেন মার্করাম ও রায়ান রিকেলটন। ৫৫ বলে ৮৬ রানে মার্করাম ফিরলে বাকি কাজ সেরে ফেলেন রিকেলটন। এ অপরাজিত ব্যাটারের রান ৫৯ বলে ৩১।
তবে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডের শুরুটা একদমই মন্দ হয়নি। ওপেনার জেমি স্মিথের ফিফটিতে ১৭ ওভারেই দলের রান ছাড়ায় একশ’। তবে চতুর্থ উইকেট হিসেবে স্মিথ (৫৪) ফিরে গেলেই তাসের ঘরের মতো পড়ে যায় স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ। স্মিথের ফেরার পর দলীয় রানে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে পারেন জস বাটলার, ২৪ বলে ১৫। স্রেফ ২৯ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারায় ব্রুকের দল।
ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ইংলিশদের সর্বনিম্ন আর ৫০ বছরের মধ্যে হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ এটিই (১৩১)। দলটির শেষ ছয় ব্যাটারের মধ্যে কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন কেশভ মহারাজ, ৩টি নেন উইয়ান মুলদার।
আরও পড়ুন