প্রকাশ: ২৬ আগস্ট, ২০২৫

ছন্দ হারিয়ে নিজেকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে যেন কিছুতেই কিছু মিলছিল না তার। অবশেষে যেন নিজের চেনা ছন্দ ফিরে ফেলেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। সেন্ট কিটস অ্যান্ড প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দলকে জেতালেন, হলেন ম্যাচসেরাও। একই সঙ্গে রেকর্ডও সঙ্গী করলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পষ্ট করলেন তিনি। পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের স্বীকৃত টুর্নামেন্টে এমন মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। ৪৪ বার ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতেও তিনি দারুণ রেকর্ড গড়লেন।
রোববার রাতে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) অন্যরকম দিন কেটেছে সাকিবের। বোলিংয়ে এবারই প্রথম দুই ওভার পেয়েছিলেন তিনি।
সেটাকে দারুণভাবেই কাজে লাগান বাঁহাতি অফ স্পিনার। প্রথম উইকেট নিয়েই তিনি মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। সাকিবের আগে এমন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রশিদ খান, ডোয়াইন ব্রাভো, সুনিল নারিন ও ইমরান তাহির। সাকিব পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে এ ক্লাবে নাম লেখালেন। ৩৮ বছরের ক্যারিয়ারে এমন অর্জনের পেছনে প্রচুর পরিশ্রম হয়েছে তার। সাকিব বলেন, ‘গত কয়েক ম্যাচে আমি বেশি বোলিং করতে পারিনি। তাই কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। একই সঙ্গে খুব বেশি ওভার বোলিং না পাওয়ায় নেতিবাচকতাও কাজ করছিল। সাধারণত আমি আরও বেশি বোলিং করে থাকি। যখনই সুযোগ আসবে, অবদান রাখার চেষ্টা করব।’
ম্যাচের ১৫তম ওভারে বল হাতে এসেছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে আউট করেই স্পর্শ করেন ৫০০ উইকেটের অসাধারণ রেকর্ড। এরপর থেমে থাকেননি সাকিব। ১৭তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপে। কাইল মেয়ার্স ও নাভিন বিদাইসিকে ফিরিয়ে নেন পরপর, সেইসঙ্গে ওভারটি শেষ করেন মাত্র ২ রান খরচ করে। মোট ২ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। পরে ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতেও বলেছেন, ‘এ অর্জনের পেছনে অনেক কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরে আমি খুব খুশি। অনেক লম্বা ক্যারিয়ার, যা অর্জন করতে পেরেছি তাতে আমি খুশি।’ ম্যাচসেরা সাকিব এগিয়ে আরেক ধাপ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি সাকিবের ৪৪তম ম্যাচসেরার পুরস্কার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের সমান ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার আছে আন্দ্রে রাসেলেরও। তবে ৪৪ বার ম্যাচসেরা হতে রাসেলের চেয়ে অনেক কম ম্যাচ লেগেছে সাকিবের। এ মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া খেলোয়াড় তার সামনে মাত্র চারজন। প্রথম স্থানে থাকা উইন্ডিজের ক্রিস গেইলের পুরস্কার সংখ্যা ৬০, ৪৮টি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ৪৭টি নিয়ে তিনে কিয়েরন পোলার্ড। সাকিবের নিকটবর্তী আছেন অ্যালেক্স হেলস। ইংলিশ ওপেনারের সংখ্যাটা ৪৫। আগামীতে আর কাকে কাকে ছড়াতে পারবেন তিনি, সেটাই দেখার এখন।
আরও পড়ুন