প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নেপাল পুরোপুরি শান্ত হয়নি এখনও। জামাল-মিতুল-সোহেলরা এখনও টিম হোটেলে ‘বন্দি’। জেন-জি’র আন্দোলনের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং সেনাবাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো। তারপরও খেলোয়াড়েরা হোটেলের বাইরে বের হচ্ছেন না। হোটেলের ফিটনেস সেন্টারে ঘাম ঝরিয়ে, দেশে পরিবার-পরিজনের সাথে কথা বলে সময় কাটাচ্ছেন।
দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় মঙ্গলবারই দেশে ফেরার কথা ছিল জামাল-মিতুলদের। তবে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে ফেরা হয়নি খেলোয়াড়দের। নানা সুত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরতে পারে দল।
নিরাপত্তা সংকটের কারণে কাঠমাণ্ডুর টিম হোটেলেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। সেখান থেকেই ভিডিও বার্তায় মিডফিল্ডার সোহেল রানা জানিয়েছেন সার্বিক পরিস্থিতি।
“গতকালকের থেকে আমাদের আজকের অবস্থা খুবই ভালো। গতকাল নেপালে যে একটা পরিস্থিতি ছিল…কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। যেহেতু সেনাবাহিনী সব কিছুর দায়িত্ব নিয়েছে, তো আমাদের বর্তমান অবস্থা ভালো।”

“পরিবারের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। যেহেতু এখন নিরাপত্তার বিষয়গুলো সেনাবাহিনীর হাতে, তো এমন পরিস্থিতিতে দেশে পরিবারের সবাই এখন আর চিন্তা করছে না। হোটেলে আমরা খুব ভালো অবস্থায় রয়েছি। সব মিলিয়ে পরিবার এখন চিন্তা মুক্ত রয়েছে।”
ডিফেন্ডার তপু বর্মন জানিয়েছেন, টিম হোটেলের ফিটনেস সেন্টারে এদিন সকালে অনুশীলন করেছেন তারা। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ না থাকায় ফিটনেস ধরে রাখার দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন তারা।
“আসলে গতকাল যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, হঠাৎ করেই আমরা একটা সমস্যার মুখোমুখি হই। আজকে যে অবস্থা আমরা সবাই বুঝতে পারছি এবং দেখছি, নেপাল খুবই শান্ত আছে। যে দুশ্চিন্তা আমাদের ছিল, আমাদের পরিবারের ছিল, প্রতিটি খেলোয়াড় সবার পরিবারের সাথে কথা বলেছে, তাদেরকে বুঝিয়েছে আসলে কী সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি এবং এখন কেমন আছি। নিশ্চিতভাবেই আমার মনে হয়, আমরা এখন যেভাবে আছি, নিরাপদ আছি।”

“আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, আমরা কিন্তু আজকে জিম সেশন করেছি। পেশাদার খেলোয়াড় ও জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে দুই-তিন দিন তো ট্রেনিং বন্ধ রাখা যায় না। এই পরিপেক্ষিতে কোচ আমাদের অনুশীলনের শিডিউল দিয়ে দিয়েছেন। আজকে সকালে জিম সেশন করেছি। আমরা ৩৬ জন এখানে আটকে আছি। আশা করি, আমরা দ্রুত দেশে ফিরে যাব।”
খেলোয়াড়দের দেশে ফেরার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি এখনও। তবে সোহেল জানালেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল উদ্যোগী হওয়ায় দ্রুত ফেরার সম্ভাবনা দেখছেন তারা।
“আমরা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি, আমাদের সভাপতি তাবিথ আউয়াল ভাই এবং উপদেষ্টা (আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া) সবার সঙ্গে কথা বলছে যে, কিভাবে আমাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া যায়। এ নিয়ে তারা কাজ করছে। সবসময় আমাদের সঙ্গে যোগযোগ করছে এবং খোজখবর নিচ্ছে।”