ফ্রিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল দেখতে টয়লেটে ২৭ ঘণ্টা
প্রকাশ: ৯ জুন, ২০২৫

প্রিয় দলের খেলা দেখতে ভক্তদের নানান পাগলামোর গল্প শোনা যায় প্রায়ই। তেমনই এক ঘটনার জন্ম দিলেন নিল রেমেরি ও সেনে হাভেরবেক। টিকেট ছাড়া উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল দেখতে প্রায় ২৭ ঘণ্টা টয়লেটে ছিলেন দুই বেলজিয়ান টিকটকার।
জার্মানির মিউনিখ শহরের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় গত শনিবার ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতে পিএসজি।
বেলজিয়ান সংবাদমাধ্যম ভিআরটি নিউজের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ম্যাচটি দেখতে আগের দিনই লুকিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকে যান রেমেরি ও হাভেরবেক। পরে একটি টয়লেটের ভেতরে লুকিয়ে পড়েন তারা।
স্টেডিয়ামের কর্মীদের সন্দেহ এড়াতে টয়লেটের প্রবেশমুখে পরিত্যক্ত স্টিকার লাগিয়ে দেন তারা।
বেলজিয়ান পাবলিক ব্রডকাস্টারে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টয়লেটে কাটানো সময়ের বর্ণনা দেন রেমেরি।
“আমাদের ব্যাগে খাবার ছিল। সময় কাটানোর জন্য ফোনে বিভিন্ন কিছু করেছি। পুরোটা সময় বাতি জ্বালানো ছিল এবং বসার জায়গাও আরামদায়ক ছিল না। তাই ঘুমানো একরকম অসম্ভব ছিল। যা কিনা শারীরিক ও মানসিকভাবে আরও কঠিন করে তুলেছিল (পরিস্থিতি)।”
পরে ম্যাচের দিন দর্শকরা ওই টয়লেট ব্যবহার করতে শুরু করলে সুযোগ বুঝে বেরিয়ে যান রেমেরি ও হাভেরবেক। নিরাপত্তাকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মিশে যান ৮৬ হাজার ৬০০ জন দর্শকের জনসমুদ্রে।
“আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে দেখেছি কোন নিরাপত্তাকর্মী সবচেয়ে কম মনোযোগ দিচ্ছে। এক হাতে ফোন আর অন্য হাতে খাবার নিয়ে আমরা হাঁটা শুরু করে দিই এবং হঠাৎই নিজেদের গ্যালারিতে আবিষ্কার করি।”
“পিএসজি ৫-০ গোলে জিতেছে এবং আমরা জয়ী দলের সমর্থকদের সঙ্গে ছিলাম। আমাদের দেখা সবচেয়ে সুন্দর ফুটবল ম্যাচ ছিল সেটি।”
এই বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে রয়টার্সের অনুরোধে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা কর্তৃপক্ষ ও উয়েফা।