প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ইউরোভিশন থেকে নাম প্রত্যাহারের পর এবার ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়েও বিতর্কিত সিদ্ধান্তের আভাস দিলেন স্পেনের সমাজতান্ত্রিক দলের মুখপাত্র পাত্রি লোপেস।
মঙ্গলবার কংগ্রেসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লোপেস বলেন, ২০২৬ বিশ্বকাপে ইসরায়েল অংশ নিলে স্পেনও খেলা থেকে সরে দাঁড়ানোর পথ খোলা থাকবে। ইউরোভিশন কনটেস্টের মতো ফুটবলেও ‘একই নীতি’ অনুসরণ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
লোপেস বলেন, ‘এ মুহূর্তে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় স্থল আক্রমণ চালাচ্ছে। প্রতিদিন আমরা টেলিভিশনে শিশুদের হত্যা হতে দেখি, মানুষকে খাদ্যের খোঁজে বের হলে গুলি করা হয়, গোটা শহর মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটি আত্মরক্ষা নয়, এটি সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই নয়—এটি গণহত্যা।’
তিনি আরও জানান, স্পেনের বিপুল সংখ্যক মানুষ এই ঘটনায় প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন, যেমনটা দেখা গেছে সম্প্রতি ‘লা ভুয়েল্তা’ সাইক্লিং প্রতিযোগিতায়। ‘আমাদের জনগণ মরতে থাকা মানুষদের প্রতি নীরব সমর্থন দিতে চায় না। তাই ইসরায়েলি দলকে নিয়ে রাস্তায় ঘুরলে প্রতিবাদ হবেই। এটিই হলো একটি মর্যাদাবান জাতির চিহ্ন।’
স্পেনীয় রাজনীতিক প্রশ্ন তোলেন, রাশিয়ার ক্ষেত্রে যেমন ক্রীড়াক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো, ইসরায়েলের ক্ষেত্রে কেন নয়?
‘রাশিয়াকে বাদ দেওয়া সম্ভব হলে ইসরায়েলকে কেন নয়? পার্থক্যটা কোথায়?’
তিনি বলেন, যদি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলো ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ না করে, তাহলে স্পেন নিজেদের অংশগ্রহণ নিয়েও সিদ্ধান্ত নেবে। এতে ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য পুরুষদের বিশ্বকাপ থেকেও সরে দাঁড়ানোর মতো ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটতে পারে।
লোপেসের দাবি, বহু ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদকে হত্যা করা হয়েছে, অথচ এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কোনো প্রতিবাদ হয়নি। ‘তাহলে বিষয়টা খেলাধুলা নিয়ে, নাকি কেবল অর্থ নিয়েই?’—প্রশ্ন তোলেন তিনি।