প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অধিনায়ক লিটন দাস জ্বলে উঠলেন আরো একবার, আরো একবার নির্ভার জয় পেল বাংলাদেশ। শুরুর চাপ সামলে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে অনায়াসেই বের করে নিয়ে এসেছেন ম্যাচ।
লিটন-হৃদয়ের দারুণ যুগলবন্দীতে এশিয়া কাপে শুভসূচনা করল বাংলাদেশ। আবুধাবিতে প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে পেয়েছে ৭ উইকেটের জয়। লিটন খেলেন ৩৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস।
এই নিয়ে শেষ চার ম্যাচে তৃতীয় ফিফটি পেলেন লিটন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা ১৫তম ফিফটি। বাংলাদেশের হয়ে আগের ম্যাচেই বনে গিয়েছিলেন সর্বোচ্চ ফিফটির মালিক, আজ তা এগিয়ে নিলেন আরো একধাপ।
১৪৪ রান আধুনিক ক্রিকেটে যদিও কঠিন কিছু নয়, তবে আবুধাবিতে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই বটে। চ্যালেঞ্জটা সহজ করতে ভূমিকা রাখতে হতো ওপেনারদের। তবে পারেননি তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমনরা।
জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দারুণ কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন ইমন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি, তৃতীয় ওভারেই ফেরেন ১৪ বলে ১৯ করে। থিতু হয়ে ইনিংস টানতে পারেননি তামিমও।
তামিম আউট হন ১৮ বলে ১৪ করে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে হারিয়ে খানিকটা চাপেই পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেই চাপ উড়িয়ে দেন লিটন দাস।
তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের খুব কাছে। তবে জয় নিশ্চিত করে ফেরা হয়নি তার। ২ রান বাকি থাকতে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ভাঙে ৭০ বলে ৯৫ রানের জুটি।
তবে ৩৬ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন তাওহীদ হৃদয়। ১৪ বল বাকি থাকতেই নিশ্চিত হয় জয়। এদিকে টানা দুই ম্যাচ হেরে শেষ চারের স্বপ্ন মিইয়ে গেছে হংকংয়ের।
বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে হংকংক আগে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। যেখানে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান করে হংকং।
শুরুতে যদিও হংকংকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ, যাওয়ার প্লেতে ৩০ রানে জোড়া উইকেট তুলে নেয় তাদের। তবে এরপর ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করে হংকং।
প্রথম ওভারেই উদযাপনের সুযোগ এনে দিয়েছিলেন শেখ মেহেদী, তবে পূর্ণতা পায়নি। আম্পায়ার্স কলে এলবিডব্লু থেকে বেঁচে যান জিশান আলি। তবে পরের ওভারেই উদযাপনের উপলক্ষ পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। এই পেসারের নিচু হওয়া লেংথ ডেলিভারিতে সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আনশুমান রাঠ।
আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় বাংলাদেশ। ৭ রানে ভাঙে হংকংয়ের উদ্বোধনী জুটি। ৪.৪ ওভারে ৩০ রানে ২ উইকেট হারায় হংকং। এবার উইকেট নেন তানজিম সাকিব।
ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই বাবর হায়াতকে ফেরান তিনি। দারুণ এক ডেলিভারিতে স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়েছেন তার। অথচ আগের বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন এই ব্যাটার। ১২ বলে ১৪ রানে ফেরেন বাবর।
এরপর জিশান আলী ও নিজাকাত খান মিলে ৪১ বলে যোগ করেন ৪১ রান। এই জুটি ভাঙে ১১.৩ ওভারে ৭১ রানে। জিশান ফেরেন সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৩৪ বলে ৩০ করে। তবে ততক্ষণে ভিত পেয়ে গেছে দলটা।
নিজাকাত এরপর জুটি গড়েন ওয়াসিম মুর্তজার সাথে। বেশ জমে উঠে জুটি, ৩৪ বলে ৪৬ রান যোগ করেন তারা। ওয়াসিম ১৯ বলে ২৮ রান আউট হলে ভাঙে জুটি। নিজাকাত ফেরেন ১৯ তম ওভারে এসে।
রিশাদের বলে নিজাকাত ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪০ বলে ৪২ করে। পরের বলেই কিঞ্চিৎ শাহকেও (০) ফেরান রিশাদ। শেষ ওভারে তাসকিন নেন আরো একটা উইকেট। তাতে ৭ উইকেটে ১৪৩ রানে থামে হংকং।
তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন নেন জোড়া উইকেট করে।