শেষ মুহূর্তে জিততে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান ভাবছেন লিভারপুল কোচ
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বার্নলির পুরোপুরি রক্ষণাত্মক কৌশলের সামনে টানা আক্রমণ করেও সুবিধা করতে পারছিল না লিভারপুল। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছিল, পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা পেয়ে বসেছিল কোচ আর্না স্লটের মনে। ভীষণ কঠিন সেই মুহূর্তে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান মোহামেদ সালাহ। ভাগ্যের জোরেই তা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন অ্যানফিল্ডে অভিষেক মৌসুমেই দলকে লিগ শিরোপা জেতানো কোচ।
প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে লিভারপুল। চলতে থাকে একেবারে শেষ পর্যন্ত। তবে বার্নলি পুরোপুরি রক্ষণাত্মক কৌশল নেওয়ায় আক্রমণে বেশ ভুগতেও হয় তাদের।
পরিসংখ্যানেও চিত্রটা স্পষ্ট; ৮০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ২৭টি শট নেয় লিভারপুল, যদিও এর কেবল চারটিই লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। বিপরীতে বার্নলি তিনটি মাত্র শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
৮৪তম মিনিটে বার্নলির ফরাসি মিডফিল্ডার লেসলি উগুচুকয়ু দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে, লিভারপুলের সামনে সুযোগ আরেকটু বাড়ে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট পেরিয়ে তখন যোগ করা সময় চলে, হঠাৎ করেই লিভারপুলের সামনে জয়ের সুবর্ণ সুযোগ চলে আসে। বার্নলির ডি-বক্সে তাদের হানিবাল মেজব্রির হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি এবং সফল স্পট কিকে ব্যবধান গড়ে দেন সালাহ।
লিগ শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে চার ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই ৮৩তম মিনিটে কিংবা এরপরে জয়সূচক গোলের দেখা পেল লিভারপুল। এতে দলের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা যেমন ফুটে ওঠে, তেমনি আবার কিছুটা দুর্ভাবনারও বটে। ম্যাচের পর কোচ আর্না স্লটও তাই বললেন।
“এক্ষেত্রে আসলে দুইরকম ভাবনাই কাজ করে। আমি জানি, ১৮ গজ বক্সে ১১ জন নিয়ে খেলা দলের বিপক্ষে সুযোগ তৈরি করা কতটা কঠিন।”
“এই কৌশল খুব ভালো কাজও করে, তারা (বার্নলি) যেমন একটি পয়েন্ট প্রায় পেয়েই গিয়েছিল। তাদের সম্পর্কে আমি নেতিবাচক কিছু বলছি না। আমি কেবল বোঝাতে চাচ্ছি, প্রিমিয়ার লিগের একটা দল যারা সবাইকে নিয়ে রক্ষণ সামলায়, তাদের বিপক্ষে খেলা কতটা কঠিন।”
সেট পিসে গোলটা না পেলে হয়তো পয়েন্ট হারিয়েই ফিরতে হতো লিভারপুলকে। স্লটের কণ্ঠে তাই পরিষ্কার স্বস্তি ফুটে উঠল।
“আমরা সেট পিসে গোল করতে না পারলে, একমাত্র উপায় হলো ওপেন প্লে থেকে গোল করতে হতো, যা ১৮ গজ বক্সে ১১ জন খেলা দলের বিপক্ষে খুব কঠিন। সত্যি বলতে, তেমন কোনো সুযোগই ছিল না। হয়তো আমরা ড্র ধরেই নিয়েছিলাম; তবে বদলি হিসেবে সম্ভাব্য সব (আক্রমণভাগের) খেলোয়াড়দের নামিয়ে আমরা চেষ্টা করি যারা আক্রমণ করতে পারে, মাঠে তেমন ছয় থেকে সাত জন খেলোয়াড় ছিল আমাদের।”
“জানি না, গোলটা করার ক্ষেত্রে ওই সিদ্ধান্ত কোনো প্রভাব ফেলেছে কিনা; তবে আমরা পেনাল্টিটা তৈরি করলাম এবং ঠিক তার আগে দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে ইয়েরেমি ফ্রিমপং। দিনশেষে সবকিছু দারুণ স্বস্তির, (আমরা) ভাগ্যবান।”
চার ম্যাচের সবগুলো জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল।
আরও পড়ুন