Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • দাপুটে পারফরম্যান্সে রেয়াল মাদ্রিদের ছয়ে ৬

দাপুটে পারফরম্যান্সে রেয়াল মাদ্রিদের ছয়ে ৬

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণের ঝড় বইয়ে দিল রেয়াল মাদ্রিদ। চমৎকার গোলে দলকে পথ দেখালেন ভিনিসিউস জুনিয়র। নতুন ঠিকানায় প্রথম গোলের দেখা পেলেন ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো। পরে জোড়া গোলের সুবাস ছড়ালেন দারুণ ছন্দে থাকা কিলিয়ান এমবাপে। লেভান্তেকে উড়িয়ে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রাখল শাবি আলোন্সোর দল।

প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতেছে রেয়াল মাদ্রিদ।

এই জয়ে শিরোপাধারী বার্সেলোনার চেয়ে আবার পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে গেল মাদ্রিদের দলটি। ছয় ম্যাচের সবকটি জিতে তাদের পয়েন্ট হলো ১৮। এক ম্যাচ কম খেলে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বার্সেলোনা।

ম্যাচে রেয়ালের দাপুটে পারফরম্যান্সের চিত্র মেলে পরিসংখ্যানেও। ৬২ শতাংশ সময় পজেশন রেখে গোলের জন্য মোট ২৪টি শট নেয় তারা, যার ১০টি ছিল লক্ষ্যে। লেভান্তের ১১ শটের দুটি লক্ষ্যে ছিল।

শুরু থেকে আক্রমণ শাণাতে থাকে রেয়াল। তাদের কয়েকটি লক্ষ্যভ্রষ্ট শটের পর ফেদেরিকো ভালভের্দে ও ভিনিসিউসের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন লেভান্তের গোলরক্ষক। ২৮তম মিনিটে ভিনিসিউসের দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।

ভালভের্দের পাস বক্সের ভেতর ডান দিকে পান ভিনিসিউস। তার সামনে দুই দিকে ছিল প্রতিপক্ষের দুই ফুটবলার। তাদের মাঝ দিয়েই দুরূহ কোণ থেকে আচমকা বুটের মাথা দিয়ে শট নেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। কাছের পোস্টে থাকা গোলরক্ষকের তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না, দূরের পোস্ট দিয়ে জালে আশ্রয় নেয় বল।

দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে ৩৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রেয়াল। এই গোলেও জড়িয়ে ভিনিসিউসের নাম। মাঝমাঠ থেকে তিনি ডান দিকে পাস দেন মাস্তানতুয়োনোকে। বল ধরে বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষের একজনের বাধা এড়িয়ে জোরাল শটে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ১৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন উইঙ্গার।

বিরতির আগে আরেকটি ভালো সুযোগ পান ভিনিসিউস। কাছ থেকে ওয়ান-অন-ওয়ানে তার শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক।

প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১৬টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে রেয়াল। এই সময়ে লেভান্তের ৪ শটের একটিও লক্ষ্যে ছিল না।

অদ্ভুত এক গোলে ৫৪তম মিনিটে ব্যবধান কমায় লেফান্তে। বক্সের ভেতর ডান দিকে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের শট পা বাড়িয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন রেয়াল ডিফেন্ডার ডিন হাউসেন। তার পায়ে লেগে বল উঠে যায় ওপরে, কাছের পোস্টে থাকা গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া চেষ্টা করেন পেছনে সরে এসে ক্লিয়ার করতে, তবে হেডে জালে পাঠান ইত্তা ইয়ং।

৬৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে পানেকটা শটে আবার দুই গোলের লিড পুনরুদ্ধার করেন এমবাপে। বক্সের তিনি নিজেই ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল রেয়াল।

পরের দুই মিনিটের মধ্যেই দারুণ গোলে ব্যবধান আরও বাড়ান এমবাপে। আর্দা গিলেরের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষককে পাশ কাটিয়ে বল জালে পাঠান বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।

এবারের লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল হলো ৭টি।

একটু পর হ্যাটট্রিকের সুযোগও পেয়ে যান তিনি। তবে এবার তার প্রচেষ্টা লক্ষ্যে থাকেনি। শেষ দিকে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি ভিনিসিউসও। ব্যবধান তাই আর বাড়েনি।

এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সাত ম্যাচের সবগুলোই জিতল আলোন্সোর দল।

Lading . . .