Advertisement

প্রাণ ফিরছে সাদাপাথরে

কালবেলা

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট, ২০২৫

প্রাণ ফিরছে সাদাপাথরে
প্রাণ ফিরছে সাদাপাথরে

সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারি ও পদক্ষেপের পর থেকে সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র থেকে লুট হওয়া পাথরগুলো ফেরত আসতে শুরু করেছে। ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাতে চলা এসব পর্যটনকেন্দ্রে পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে যেন প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে। পাশাপাশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে স্বস্তি ফিরেছে পর্যটনের সঙ্গে জড়িত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝেও।

সরেজমিন দেখা যায়, এখন আর সাদাপাথরের বুকে শাবল, খুন্তি চালানোর দৃশ্য নেই। পুরোদমে চলছে ক্ষত স্থানে পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ। বিছনাকান্দি, জাফলং, উৎমাছড়া, রাংপানিতেও চলছে একই কাজ। প্রতিটি স্থানই পর্যটকমুখর। তবে পর্যটকরা জানান, সাদাপাথরের সৌন্দর্য অনেকখানি কমে গেছে। পাথর প্রতিস্থাপনের কাজে তারা ভালো লাগা প্রকাশ করলেও আগের স্বাভাবিক রূপে ফেরা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।

গত শনিবার সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর ফেরত দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে যার কাছে সাদাপাথর মজুত আছে, তা ফিরিয়ে দেওয়ার আলটিমেটাম দেন নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। এরপর থেকে যাদের কাছে সাদাপাথর মজুত পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। সাদাপাথরে প্রতিস্থাপনের জন্য সিলেট সদর উপজেলা থেকে ২৫১টি ও কোম্পানীগঞ্জ থেকে ১০৯টি ট্রাকে করে পাথর পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া শারফিন টিলায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিন মিয়া কালবেলাকে বলেন, তিন দিন আগে জারি করা জেলা প্রশাসনের এ নির্দেশনার পর এখন পর্যন্ত ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজর ঘনফুট পাথর পর্যটন স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তবে বাকি পাথরগুলো পর্যায়ক্রমে প্রতিস্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।

সিলেট সদর ইউএনও খোশনুর রুবাইয়াৎ জানান, সাদাপাথর উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। ধোপাগুল ও লালবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে প্রতিস্থাপনের জন্য সাদাপাথরে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া গত রোববার দুপুর থেকে উদ্ধার হওয়া সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫০টি ট্রাকে সাদাপাথর প্রতিস্থাপনের জন্য পাথর পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ধোপাগুল এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী নিজ উদ্যোগে আটটি ট্রাকে তাদের কাছে রাখা সাদাপাথর পাঠিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, ‘আলটিমেটামের পর অনেকেই স্বেচ্ছায় পাথর ফিরিয়ে দিয়েছেন। আশা করি, ভালো ফল পাওয়া যাবে। এরপরও যদি কেউ পাথর ফেরত না দেয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন

Lading . . .