Advertisement
  • হোম
  • বাণিজ্য
  • এইচএসবিসি সেরা রপ্তানিকারকপুরস্কারের আবেদন গ্রহণ শ...

এইচএসবিসি সেরা রপ্তানিকারকপুরস্কারের আবেদন গ্রহণ শুরু

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

নবমবারের মতো এক্সপোর্ট অ্যাওয়ার্ড আয়োজন সামনে রেখে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মাহবুব উর রহমান, এনভয় লিগেসি গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলেছবি: প্রথম আলো
নবমবারের মতো এক্সপোর্ট অ্যাওয়ার্ড আয়োজন সামনে রেখে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মাহবুব উর রহমান, এনভয় লিগেসি গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলেছবি: প্রথম আলো

নবমবারের মতো দেশের সেরা রপ্তানিকারকদের স্বীকৃতি দেবে দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশ। এই স্বীকৃতি পেতে দেশের সব রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে চার শ্রেণিতে দেওয়া হবে সেরা রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি। এ পুরস্কার বা স্বীকৃতির জন্য আবেদন করতে ব্যাংকটির গ্রাহক হতে হবে না। শর্তপূরণ সাপেক্ষে যে কেউ আবেদন করতে পারবে।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ শীর্ষক এ আয়োজনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর দেশের সেরা রপ্তানিকারকদের স্বীকৃতি দিতে এই আয়োজন করে আসছে এইচএসবিসি। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সেরা রপ্তানিকারক নির্বাচনের কোনো পর্যায়ে এইচএসবিসির সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। স্বীকৃতি বা সম্মাননা দেওয়া হবে চারটি শ্রেণিতে। তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্রশিল্প, যাদের বার্ষিক রপ্তানি আয় ১০ কোটি ডলার বা তার বেশি সেসব প্রতিষ্ঠান এই শ্রেণিতে আবেদন করতে পারবে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে রয়েছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্রশিল্প খাতের সংযোগ শিল্প। এ খাতের যেসব প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয় ৫ কোটি ডলার বা তার বেশি তারা আবেদন করতে পারবে। তৃতীয় শ্রেণিতে রপ্তানি খাতের উৎপাদনশীল শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উদীয়মান ও অসনাতন প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিকস, হালকা প্রকৌশল, প্লাস্টিক, আসবাব, জুতা, চামড়াজাত পণ্য, এগ্রো প্রসেসিং ও অটোমোটিভ কম্পোনেন্ট খাতের প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যাদের বার্ষিক রপ্তানি আয় ১ কোটি ডলার বা তার বেশি তারাই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবে। সর্বশেষ শ্রেণিতে পুরস্কার দেওয়া হবে সেবা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রপ্তানির উদীয়মান প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এ শ্রেণিতে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক রপ্তানি আয় হতে হবে ন্যূনতম ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।

সংবাদ সম্মেলনে এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, ‘আমরা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা সেরা রপ্তানিকারকদের স্বীকৃতি দিতে চাই। তাঁদের সাফল্যের অভিজ্ঞতা ও কার্যপদ্ধতি সামনে তুলে আনতে চাই, যাতে অন্যরাও তাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হন। একই সঙ্গে রপ্তানিতে অবদান রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎমুখী দিকগুলোর ওপরও আলোকপাত করতে চাই, যাতে নতুন উদ্যোক্তারা সামনে এগোতে হলে কী কী করবে ও কোন ভাবনাগুলো ভাববে তার ধারণা পান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আবেদনপত্র ও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে ওয়েবসাইটে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। এ আয়োজনে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।

সংবাদ সম্মেলনের আগে গত আসরের বিজয়ী শিল্পপ্রতিষ্ঠান ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ জব্বার ও এনভয় লিগ্যাসি গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ উদ্যোক্তা হিসেবে তাঁদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি তুলে ধরেন। এ আয়োজন সঞ্চালনা করেন এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুব উর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর মার্টিন ডওসন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এম রাজ্জাকুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় শিল্পোদ্যোক্তা কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ আছে, কিন্তু মানসম্মত বিদ্যুৎ নেই। এ জন্য কারখানা সচল রাখতে জেনারেটর কিনতে হয়। ফলে খরচ বেড়ে যায়। এ ছাড়া লজিস্টিক ব্যয়, বন্দর খরচ ও অবকাঠামো সমস্যার সমাধান, নতুন শিল্পে সহায়তা ও ডিজিটাল খাতে বিনিয়োগের ওপর জোর দিতে হবে। সরকার যদি ব্যবসার পরিবেশ আরও সহজ করতে পারে, তাহলে নতুন উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে পারবেন।’

আরেক শিল্পোদ্যোক্তা এম এ জব্বার বলেন, ‘আমরা যখন শুরু করি, তখন আমাদের কর্মী ছিলেন ২০০ জন। এখন আমাদের ৫০ হাজার কর্মী। বার্ষিক আয় ১০০ কোটি ডলার। এইচএসবিসির স্বীকৃতি বিদেশি ক্রেতাদের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর কাছে দেশ ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা গেছে।’

তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ হিসেবে কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে আন্তরিক ও সৎ থাকতে হবে। আমার ব্যবসার শুরুতে আমার টাকা ছিল না, অংশীজনেরা অর্থ দিয়েছিলেন। যোগ্যতা থাকলে কেউ না কেউ পাশে দাঁড়াবে।’

একই প্রসঙ্গে এম এ জব্বার বলেন, তরুণদের ব্যবসায় ভালো করতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সব সময় সত্য ও সোজা পথে হাঁটতে হবে।

Lading . . .