যাত্রাশিল্পী সম্মাননা পেলেন মিলন কান্তি দে
দেশের যাত্রাশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য শিল্পকলা একাডেমি থেকে ‘যাত্রাশিল্পী’ সম্মাননা পেলেন যাত্রানট মিলন কান্তি দে। একাডেমিতে অনুষ্ঠিত গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসবের সমাপনী আয়োজনে তার হাতে এই সম্মাননা স্মারক, সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকা অর্থমূল্যের চেক তুলে দেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সম্মাননা পাওয়ার পর অনুভূতি ব্যক্ত করেন যাত্রাশিল্পী মিলন কান্তি দে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি শিল্পী খ্যাতি অর্জনের জন্য যাত্রাশিল্পে আসিনি, এই শিল্পের দুর্দশা দূর করতে কাজ করেছি।
নীতিমালা প্রণয়ন থেকে শুরু করে যাত্রার দুর্দশা দূর করতে অনন্ত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। শিল্প-সংস্কৃতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা যেন অব্যাহত থাকে, সেই প্রত্যাশার কথা জানান তিনি। যাত্রানট, গবেষক, লেখক ও বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত মিলন কান্তি দে ক্যান্সারে আক্রান্ত। পাকস্থলিতে ক্যান্সার ধরা পড়েছে ৭৬ বছর বয়সের এই শিল্পীর। বর্তমানে তিনি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন।
বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দে ১৯৬৬ সাল থেকে যাত্রাজগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন। বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা ও কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এ শিল্পকে তিনি আলোকিত করেছেন। এ যাবৎ ১৫১টিরও অধিক যাত্রাপালায় অভিনয় করেছেন তিনি। নির্দেশনা দিয়েছেন ১১৯টিতে। যাত্রাকে জাতীয় পর্যায়ে উত্তরণের লক্ষ্যে সাংবাদিকতাও করেছেন, এখনো পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। যাত্রাশিল্পে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার, শিল্পকলা একাডেমির বিশেষ যাত্রাব্যক্তিত্বের পুরস্কার, ইবসেন অ্যাওয়ার্ড, অমলেন্দু বিশ্বাস স্মৃতিপদক, নাট্যচক্র সম্মাননা ও চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে প্রত্যয় শিক্ষা সাংস্কৃতিক একাডেমির গুণীজন সম্মাননা প্রভৃতি।