নোয়াখালীতে যুবদলের হামলায় জামায়াতের দুজন গুলিবিদ্ধ
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ফুটবল খেলা দেখা নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় জামায়াতের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। স্থানীয় যুবদলের নেতা-কর্মীরা তাঁদের গুলি করেছেন বলে দাবি জামায়াতের নেতা-কর্মীদের। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের তুলাছরা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. সজীব (২০) ও মো. তুষার (২১)। তাঁরা দুজনই গোপালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাঁদের গতকাল রাত ১১টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ আগস্ট গোপালপুর ইউনিয়নের আলী হায়দার উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন। সেখানে খেলা দেখা নিয়ে স্থানীয় যুবদল ও জামায়াতের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার বিষয়ে গতকাল রাতে তুলাছরা গ্রামে একটি সমঝোতা বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে সশস্ত্র হামলা চালান কিছু যুবক। এ সময় ঘটনাস্থলে গুলিতে দুই জামায়াত কর্মী আহত হন।
জামায়াতে ইসলামীর গোপালপুর ইউনিয়ন শাখার সহসভাপতি আলাউদ্দিন মামুন প্রথম আলোকে বলেন, খেলার মাঠে রাসেল নামে জামায়াতের এক কর্মীর সঙ্গে মানিক নামে এক বিএনপি কর্মীর কথা–কাটাকাটি হয়। এর জেরে ঘটনার সূত্রপাত। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় যুবদল-ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মী এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিয়েছেন, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন। গত শনিবার রাতেও তাঁরা জামায়াত কর্মীদের ভয় দেখাতে মহড়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় সমঝোতার জন্য স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে যুবদল কর্মী হাবিব ও মহসিনের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের দল জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। তাঁদের গুলিতে দুই জামায়াত কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত যুবদল কর্মী হাবিব ও মহসিনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমানকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে একই উপজেলার বাসিন্দা ও জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম বলেন, হামলার ঘটনায় যুবদলের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নন। এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের মতো একাধিক গ্রুপ রয়েছে। তাঁরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ফুটবল খেলা দেখা নিয়ে স্থানীয় দুটি পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। রোববার রাতে এ বিষয়ে ডাকা একটি সমঝোতা বৈঠকে একটি পক্ষ হামলা চালিয়েছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে অভিযানে রয়েছে।
আরও পড়ুন