Advertisement

মুকুলেই ঝরে গেল ‘বাবার আইনস্টাইন’

যুগান্তর

প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২৫

24obnd

কথা ছিল ফুল হয়ে সুরভী ছড়াবে, অথচ মুকুলেই ঝরে গেল। বাবার স্বপ্ন ছিল, প্রচণ্ড মেধাবী ছেলেটাকে পড়াবেন যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে। আদর করে ডাকতেন ‘আইনস্টাইন’ বলে। তবে সে স্বপ্ন এখন শুধু স্বপ্নই রয়ে গেছে।

সোমবার রাজধানীর উত্তরায় ‘মাইলস্টোন ট্রাজেডি’তে গুরুতর আহত হয় ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সায়ান ইউসুফ। রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর সদরের বশিকপুর গ্রামে দাদা ডা. মাকসুদুর রহমানের কবরের পাশে দাফন করা হয় সায়ানের লাশ। অথচ, গত ঈদের ছুটিতেও এই আঙ্গিনায় লেগে ছিল সায়ানের হাসিমুখ।

বাবা এএফএম ইউসুফ মাইলস্টোন কলেজ শাখার রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। মা শামীমা শাম্মী একই প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখার রসায়নের শিক্ষক। বোন ফারিশা ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে ভাড়া বাসায় থাকত সায়ানের পরিবার।

প্রতিদিন সকালে পুরো পরিবারের গন্তব্য ছিল যে প্রতিষ্ঠান, সেখানেই এখন জমেছে শোকের স্মৃতি।

লক্ষ্মীপুরে নিজ বাড়িতে সায়ানের লাশ পৌঁছানোর পর বাবা এএফএম ইউসুফ বারবার আর্তনাদ করে বলছিলেন, ‘আমি তো কারও ক্ষতি করিনি। আমার ছেলে মেধাবী ছিল, ক্লাসে প্রথম হতো। এতো সুন্দর, এতো স্মার্ট ছেলেটা আমার ...। আমি সবসময় ওকে ‘আইনস্টাইন’ বলে ডাকতাম। কখনো দুষ্টামি করেও মিথ্যা বলত না। আমার সঙ্গে কেন এমন হলো।’

চাচা মিজানুর রহমান ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ঝলসানো শরীর ও কাঁধে ব্যাগ নিয়ে সায়ান ঘটনাস্থল থেকে নিজেই বের হয়ে আসে। পরে তার বাবা-মা শনাক্ত করেছে।

উল্লেখ্য, একই ঘটনায় সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়ন সোনাপুর গ্রামের রহিমবক্স হাজী বাড়ির আব্দুস সামাদের ছেলে আফনান ফায়াজেরও মৃত্যু হয়েছে। সেও সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকায় দাফন করা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

Lading . . .