Advertisement

চট্টগ্রামে অপহরণকারীর বিরুদ্ধে মামলা নিচ্ছে না ওসি

যুগান্তর

প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২৫

24obnd

চট্টগ্রামে টাকার বিনিময়ে সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়েছেন এমরান হোসেন সাগর ও চিন্ময় দে নামে দুই যুবক। অপহরণকারীরা নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন শরাফত উল্লাহ পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে ওই দুই যুবককে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

নির্যাতনের পর অস্ত্রের মুখে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে মুক্ত হন তারা। তবে রহস্যজনক কারণে ঘটনার ১৪ দিন পরও অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চান্দগাঁও থানার ওসির বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এমরান হোসেন সাগর আইনগত সহায়তা চেয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্র জানায়, গত ৯ জুলাই ১০-১২ জন অজ্ঞাত অপহরণকারী ধারালো দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নেয় ভুক্তভোগী দুই যুবককে। অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়ার পর বেধড়ক মারধর করা হয় তাদের। একপর্যায়ে তাদের কাছে থাকা নগদ আড়াই লাখ টাকা, তাদের ‘নগদ’ অ্যাপ থেকে সামি ট্রেডার্স নামক একটি প্রতিষ্ঠানে পেমেন্টের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা, রিমা ফ্যাশন নামক প্রতিষ্ঠানে ৪ হাজার টাকা এবং ভুক্তভোগী এমরান হোসেন সাগরের নিজ সিটি ব্যাংকের একাউন্ট থেকে অপহরণকারীদের একটি মোবাইল নাম্বারে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ট্রান্সফার করে নেওয়া হয়।

এরপর অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে একটি জবানবন্দি নিয়ে ওইদিন রাত ১টার দিকে চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট মোড় এলাকায় ছেড়ে দেয়। মুক্ত হওয়ার পর একাধিকবার থানায় গেলেও রহস্যজনক কারণে মামলা নিচ্ছে না পুলিশ।

পরবর্তীতে গত ১৭ জুলাই সিএমপি কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এমরান হোসেন সাগর।

তিনি বলেন, আমি এবং আমার বন্ধু চিন্ময় নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ করি। সম্প্রতি আমরা যৌথভাবে গার্মেন্টসের এক্সেসরিজ ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই মোতাবেক চিন্ময় গত ৯ জুলাই মূলধনের আড়াই লাখ টাকা নিয়ে আমার কাছে আসে। ওই সময় আমি বাসার কাছের একটি সেলুনে ছিলাম। সে ওই সেলুনে এসে আমাকে টাকাগুলো দেয়। আমি তাকে চুল কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলায় সে অপেক্ষা করে। সেলুনের কাজ শেষে আমরা পার্শ্ববর্তী শরাফত উল্লাহ পেট্রল পাম্পের সামনে যেতেই লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ আমাদের গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, অপহরণকারীদের মধ্যে সেলুনে চুল কাটার জন্য অপেক্ষমাণ থাকা এক যুবক জড়িত রয়েছে। আমরা জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পরপরই রাত দেড়টার গিয়ে থানায় গিয়ে বিষয়গুলো অবগত করেছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে সকালে যেতে বলা হয়। পরে রাত সাড়ে ৩টায় থানা থেকে বের হয়ে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে ‘পুলিশ কেইস’ স্লিপসহ পরদিন থানায় ওসি সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আসামি গ্রেফতারের পর মামলা হবে বলে জানায়। তবে এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করেনি পুলিশ।

জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার ওসি মো. আফতাব উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, প্রতিদিনই অনেক ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি আমার মনে নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

Lading . . .