Advertisement

স্বপ্ন ছিল ছেলে ক্যাডেট কলেজে পড়বে

যুগান্তর

প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২৫

24obnd

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিভে গেল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র উক্যসাইন মারমার (১৪) জীবনপ্রদীপ। লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার এ মেধাবী সন্তান।

উক্যসাইন ওই এলাকার উসাইমং মারমা ও তেজিপ্রু মারমার ছেলে। বাবা উসাইমং রাজস্থলী উপজাতীয় আবাসিক বিদ্যালয়ের কৃষি বিষয়ের শিক্ষক এবং মা তেজিপ্রু মারমা রুমা উপজেলার ক্যটেইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক।

জানা যায়, বিমান বিধ্বস্তে আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উক্যসাইনকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সেখানে সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার সকালে উক্যসাইনদের রাজস্থলীর বাঙালহালিয়ার কলেজপাড়া এলাকার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারে চলছে শোকের মাতম। উক্যসাইনের দাদা কংহ্লাপ্রু বলেন, ‘নাতি তাকে খুব ভালোবাসত। সে অত্যন্ত মেধাবী ছিল।’

উক্যসাইনের পিসি হ্লামাচিং মারমা জানান, ‘তার ভাতিজা সর্বশেষ সাক্রাইন উৎসবে (পহেলা বৈশাখ) বাড়িতে এসেছিল। গত আষাঢ়ী পূর্ণিমার দিনেও মোবাইল ফোনে শেষ কথা হয়েছিল ভাতিজা উক্যসাইনের সঙ্গে। বড় দাদার স্বপ্ন ছিল তার ছেলেকে ক্যাডেট কলেজে পড়াবে।’

উক্যসাইনের বাবা উসাই মং জানান, ‘ছেলের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পর বুধবার বাঙালহালিয়ায় নিজ গ্রামে ছেলের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।’ আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীদের উক্যসাইনের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তাকে পুণ্যরাশি দান করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) বিবৃতিতে বলেছে, উত্তরার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়ে বিপুলসংখ্যক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা মেনে নেওয়া যায় না।

Lading . . .