Advertisement

চান্দিনায় ফসলি জমিতে মাটি কাটছে কয়েকটি চক্র

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

ছবি: যুগান্তর
ছবি: যুগান্তর

ভরা বর্ষায় পানি সরবরাহের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ফসলি জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে চলেছে কয়েকটি চক্র। দিনের পর দিন ড্রেজার চালিয়ে রাতারাতি নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করছে তারা। অভিযানে পাইপ ভাঙা বা ড্রেজার মেশিন জব্দ করা ছাড়া ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ওই ড্রেজার ব্যবসায়ী চক্র।

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া, মহিচাইল, সুহিলপুর, বাতাঘাসী, নবাবপুর, গল্লাই ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সর্বত্রই ড্রেজারে মাটি কেটে নিচ্ছে।

মাধাইয়া ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন জানান, মুরাদপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ছয় মাস যাবৎ একটি ড্রেজার চলছে। এমন জায়গায় ড্রেজার বসানো হয়েছে, পানি অতিক্রম করে সেখানে যাওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। এমনকি ওই জলাশয়ে কোনো নৌকার ব্যবস্থাও নেই। ড্রেজারের ব্যবসায় সিন্ডিকেটভিত্তিক কয়েকজন জড়িত থাকে। রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে তারা ড্রেজার চালিয়ে ফসলি জমি ধ্বংস করে দিচ্ছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকালে উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কুটুম্বপুর, মহিচাইল ইউনিয়নের পরচঙ্গা ও বাগমারা গ্রামের পৃথক অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আল নূর। এ সময় ছয়টি ড্রেজার মেশিন ভাঙচুর, ৪ হাজার ফুট পাইপ ধ্বংস ও ২ হাজার ফুট পাইপ জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আল নূর জানান, আমরা যেখানেই অভিযোগ পাচ্ছি সেখানেই অভিযান পরিচালনা করছি। গত ৫ মাসে অন্তত ১০০ ড্রেজার ধ্বংস করা হয়েছে। তারপরও থেমে নেই তাদের তৎপরতা। এখন বর্ষা মৌসুম, পানিতে টইটুম্বর থাকা ফসলি মাঠের মাঝে ড্রেজার বসানোর কারণে সেখানে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তারপরও যতটুকু পারছি আমরা ধ্বংস করছি।

অভিযানে ড্রেজার মেশিন ভাঙচুর করা হলেও পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?

এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যখন অভিযানে যাই, তখন ড্রেজারের আশপাশে কাউকে পাওয়া যায় না। এমনকি ওই ড্রেজার কে পরিচালনা করে এমন তথ্য পর্যন্ত কেউ দিতে চায় না। যে কারণে ড্রেজার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। তবে ড্রেজারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন

Lading . . .