Advertisement

সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা, ধাওয়া দিতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মহেশখালীতে গুলিবিদ্ধ পুলিশের এসএসআই সেলিম উদ্দিনছবি: পুলিশের সৌজন্যে
মহেশখালীতে গুলিবিদ্ধ পুলিশের এসএসআই সেলিম উদ্দিনছবি: পুলিশের সৌজন্যে

গভীর রাতে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। সন্দেহ হতেই পুলিশের টহল দল তাঁদের থামায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান তাঁরা। এতে গুলিবিদ্ধ হন তিন পুলিশ সদস্য। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের কুহেলিয়া নদীর সেতুর পাশে কালারমারছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ তিন পুলিশ সদস্য হলেন মহেশখালী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেলিম উদ্দিন, পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ সোহেল ও মোহাম্মদ মাসুদ। তাঁদের মধ্যে এএসআই সেলিম উদ্দিন ও পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ সোহেলের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের তিনজনকে প্রথমে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মহেশখালী থানার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো গতকাল বুধবার রাতে থানা-পুলিশের পৃথক দুটি দল গাড়ি নিয়ে কালারমারছড়া ও হোয়ানক ইউনিয়নে সড়কে টহলে বের হয়। একটি দলের দায়িত্বে ছিলেন এএসআই রিয়াজ উদ্দিন। অন্যদিকে দুই পুলিশ সদস্য নিয়ে আরেকটি টহলের দায়িত্বে ছিলেন এএসআই সেলিম উদ্দিন। এর মধ্যে কালারমারছড়া ইউনিয়নের কুহেলিয়া সেতুর পূর্ব পাশে অস্ত্র নিয়ে ডাকাতদের অবস্থানের খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশের দুটি দল। ধাওয়া করলে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রতুল কুমার শীল প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হননি। জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে এলাকায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।

চকরিয়ার বদরখালী জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক মোহাম্মদ রাকিবুল হোছাইন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মধ্যরাতে আহত তিন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিন পুলিশ সদস্যের মধ্যে এএসআই সেলিম উদ্দিন ও পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ সোহেলের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

Lading . . .