কিছু শট খেলতে চেয়েছি, কিন্তু ব্যাটে বল আসছিল না: হৃদয়
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

হংকংয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ে এশিয়া কাপের এবারের মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় উইকেটে ৭০ বলে ৯৫ রানের জুটি করে বাংলাদেশকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়।
লিটন দাস ৩৯ বলে ৫৯ ইনিংস খেলে আউট হন। অন্যদিকে হৃদয় ৩৬ বলে মাত্র ৩৫ রান করে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
দলের জয়ে অবদান থাকলেও আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে হৃদয়ের গতকাল বৃহস্পতিবারের ইনিংস কতটা মাানানসই, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ম্যাচের পরপরই।
ম্যাচের আগের দিন প্রথম অনুশীলন সেশনে ছন্দহীন দেখালেও শেষ অনুশীলনে কিছুটা তাল খুঁজে পেয়েছিলেন হৃদয়। কিন্তু ম্যাচে নামার পর আবারও ব্যাটে বলের টাইমিং মেলেনি ২৪ বছর বয়সী এই ডানহাতির।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় বলেন, ‘আমি কিছু শট খেলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বলটা ব্যাটে আসছিল না। আরও এক-দুই ওভার পেলে, অথবা ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারলে হয়তো ব্যাপারটা অন্যরকম দেখাতো।’
আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হংকংয়ের বিপক্ষে হৃদয়ের স্ট্রাইকরেট ছিল একশর কম (৯৭.২২)। তবে রানরেট নিয়ে বেশি ভাবতে চান না তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটারের মূল লক্ষ্য দলের জয়ের দিকে।
হৃদয় বলেন, ‘আগেও বলেছি, জেতার জন্যই আমরা মাঠে নামি। যদি আফগানিস্তান বা শ্রীলঙ্কাকে হারাই, তাহলে তো রানরেটের কিছু আসে-যায় না। আগে থেকে এত জটিল চিন্তা করলে নিজেদের ওপরই চাপ তৈরি হয়। আমাদের যে প্রক্রিয়া, আমরা সেটাই অনুসরণ করার চেষ্টা করবো। বাকিটা আল্লাহর ওপর।’
টি-টোয়েন্টি সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতেও চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন হৃদয়। সর্বশেষ তিন ম্যাচে তার রান যথাক্রমে ৩৬ বলে ৩৫, ১৪ বলে ৯ এবং ৩৭ বলে ৩৬।
এক সময় বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় টি-টোয়েন্টি ব্যাটার হিসেবে বিবেচিত হলেও এখন হৃদয়ের দলে থাকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
তবে নিজের ফর্ম নিয়ে খোলামেলা কথাই বলেছেন হৃদয়। বলেন, ‘উন্নতির অনেক জায়গা আছে এবং প্রতিদিন আমি সেটার জন্য কাজ করছি। যা কিছু আমার নিয়ন্ত্রণে আছে, আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। হ্যাঁ, আমি সংগ্রাম করছি। সারা বিশ্বের ব্যাটাররাই কোনো না কোনো সময় সংগ্রামে পড়ে, আমি তার ব্যতিক্রম নই।’
হৃদয়ের শেষ অর্ধশতক এসেছিল প্রায় এক বছর আগে, গত অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে ৪২ বলে অপরাজিত ৬৩ রান। এরপর থেকে ১৩ ইনিংসে মাত্র তিনবার ১২৫ স্ট্রাইক-রেট অতিক্রম করতে পেরেছেন। অথচ আটবার তার স্ট্রাইক-রেট ছিল সমান বা ১০০-এর নিচে।
হৃদয় বলেন, ‘হয়তো আমি আমার শুরুটা বড় ইনিংসে রূপান্তর করতে পারছি না। কয়েকটা ইনিংসে ৩০-এর ঘরে আউট হয়েছি। আমি নিজেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে চাই। ওই সময়গুলোতে যদি দু-একটা বাউন্ডারি যোগ করতে পারি, তাহলে পুরো ইনিংসের চিত্রটাই পাল্টে যেতে পারে।’
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামীকাল রাত সাড়ে ৮টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।