Advertisement

‘পাথর ঢুকিয়ে দেব...’, বলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ওয়ার্নিং নির্মাতা সংস্থার

এই সময়

প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২৫

ছবিটি প্রতীকী,সৌজন্যে iStock
ছবিটি প্রতীকী,সৌজন্যে iStock

চলতি ভারত ইংল্যান্ড সিরিজ়ে তিনটে ম্যাচেই ডিউকস বল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুবমান গিল ও বেন স্টোকস একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন বল নিয়ে। যেই বল ৮০ ওভার চলার কথা সেটা ৫০ ওভারেই খেলার অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে শুধু অভিযোগ জানানোই নয়, আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কেও জড়িয়েছেন একাধিক প্লেয়ার। এই বিষয়ে ডিউকস বল প্রস্তুতকারী সংস্থা তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি প্লেয়ারদের সতর্কও করল।

ইংল্যান্ড ও ভারত দুই দলের প্লেয়ারের অভিযোগ ছিল ডিউকস বল অতিরিক্ত নরম হয়ে যাওয়া নিয়ে। এর ফলে বোলাররা কোনও সুবিধা পাচ্ছিলেন না। বলের সিম বসে যাওয়ায় বল টার্ন করাতে পারছিলেন না বোলাররা। বল এতদিন হাতে বানানো হলেও, এ বার মেশিনে বানানো হচ্ছে, আর এতেই বলের মান পড়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই বিষয়ে প্লেয়ারদের ঘুরপথে সতর্ক করে ডিউকস বল নির্মাতা সংস্থার কর্ণধার দিলীপ জাজোদিয়া জানান, তাঁরা বল শক্ত করে তৈরি করলে প্লেয়ারদের আঙুল ভেঙে যেতে পারে।

Dukes Ball

অতীতে ডিউকস বল বোলারদের কাছে সুবিধার ছিল। লম্বা সময় ধরে চলত এবং বল মুভ করত। সেই হিসেবে দলে বোলার সংখ্যা বাছা হতো এবং বোলারদের ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন সেই সুনাম নেই, বদলে বল দীর্ঘ সময় ধরে চলছে না এবং একটা ম্যাচে একাধিকবার বল বদল করতে হচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে বল নির্মাতা সংস্থা আগেই জানিয়েছিল তারা তিন টেস্টে ব্যবহৃত বল পরীক্ষার জন্য পাঠাবে। তবে বলের চরিত্রে এই বদলের নেপথ্যে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাঁচা মালের কারণেই এই বদল হচ্ছে।

তবে বলকে শক্ত করতে ডিউকস বল নির্মাতা সংস্থার কর্ণধার দিলীপ জাজোদিয়া বলেন, ‘আমি বলের মধ্যে পাথর ঢুকিয়ে দিতে পারি। এতে বল শক্ত হবে এবং এতে সমস্যাও মিটবে। কিন্তু সেটা করলে ভালো ক্রিকেট হবে না। ব্যাট, আঙুল ভেঙে যাবে।’

Dukes Ball

ডিউকস বলের চরিত্রে বদল

বল তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে পশুর চামড়া। করোনার আগে পর্যন্ত ভালো মানের পশুর চামড়া পাওয়া যেত। কিন্তু করোনার পর সেটাতে বদল এসেছে। যার ফলে ডিউকস বলের মান পড়েছে। যার ফল দেখা যাচ্ছে চলতি সিরিজ়ে।

তবে সিরিজ়ের বাকি ম্যাচগুলোকে বলের চরিত্র বদল হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে আগে থেকে তৈরি হওয়া সব বল বদলে ফেলতে হবে।

Lading . . .