Advertisement

৬ ক্যাচ মিস, নো বলের আফসোস নিয়ে শ্রীলঙ্কার কাছে হারল হংকং

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

আফগানিস্তান আর বাংলাদেশের কাছে প্রথম দুই ম্যাচেই গো হারা হেরেছিল হংকং। সেই দলটার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার ম্যাচ এবারের আসরের প্রথম হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উপহার দেবে, তা কে ভেবেছিল বলুন? দিনশেষে হলো সেটাই। হংকং শ্রীলঙ্কার কাছে ম্যাচটা হেরেছে ৪ উইকেটে, ৭ বল বাকি থাকতে।

তবে ৬টা ক্যাচ যদি না ফেলত আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের ২৪ নম্বর দলটা, কিংবা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে একটা নো বল না করে বসতেন ইয়াসিম মুর্তজা, তাহলে হয়তো দৃশ্যটা অন্যরকমও হতে পারত। সে কারণে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের কঠিন পরীক্ষা নেওয়ার তৃপ্তি নয়, তাদের হারাতে না পারার আফসোস নিয়েই মাঠ ছাড়তে হচ্ছে হংকংকে।

প্রথমে ব্যাট করে হংকং তোলে ৪ উইকেটে ১৪৯ রান। অনুশমান রাঠ খেলেন ৪৮ রানের ইনিংস। অন্যপ্রান্তে নিজাকাত খান ৩৮ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। এটি ছিল তাঁর দ্বাদশ টি-টোয়েন্টি ফিফটি, এবং পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে প্রথম অর্ধশতক।

বল হাতে হংকং শ্রীলঙ্কাকে শুরু থেকেই চাপে রাখে। কখনওই চড়ে বসে ব্যাটিং করার সুযোগ পায়নি লঙ্কানরা। অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা ও অফস্পিনার ইহসান খান মিলে তিনটি উইকেট তুলে নেন। তখন শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১২৭। জয় পেতে প্রয়োজন ছিল প্রতি বলে একের বেশি রান। এরপরই এক নো বল করে বসেন হংকং অধিনায়ক। এরপর এক ছক্কায় সব চাপ নিয়ে বাউন্ডারির বাইরে ফেলেন ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা।

এর আগে ফিল্ডিংয়েও ভয়াবহ ব্যর্থ হয়েছে হংকং। নিসাঙ্কাকে অন্তত তিনবার জীবন দেয় তারা। ইহসান খান দু’বার সরাসরি ক্যাচ ফেলেন। কুশল পেরেরার ক্যাচও দু’বার ছেড়ে দেন ফিল্ডাররা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিসাঙ্কা ৪৪ বলে খেলেন ৬৮ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস।

শেষ দিকে হাসারাঙ্গা ৮ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন। হংকংয়ের বোলাররা ডেথ ওভারে একের পর এক ভুল করে বসেন। সুযোগ তৈরি করেও তাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। তাই তাদের এশিয়া কাপটা শেষ করতে হলো একরাশ আফসোস নিয়েই। ওদিকে শ্রীলঙ্কা সুপার ফোরে এক পা দিয়েই ফেলল এই জয়ের পরে।

Lading . . .