Advertisement

প্রেমাদাসায় জুলাইয়ের পারফরম্যান্সটাই আজ আবুধাবিতে দরকার টাইগারদের

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রেমাদাসায় জুলাইয়ের পারফরম্যান্সটাই আজ আবুধাবিতে দরকার টাইগারদের
প্রেমাদাসায় জুলাইয়ের পারফরম্যান্সটাই আজ আবুধাবিতে দরকার টাইগারদের

এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও ম্যাচের আগে বাংলাদেশের একটি শঙ্কা ছিল। সেটি হলো- ম্যাচের ভেন্যু আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে কখনো টি-টোয়েন্টি জেতেনি বাংলাদেশ। অন্যদিকে হংকং তিনটি জয় পেয়েছে, যদিও সেটি ছোট দলের বিপক্ষে।

এই ভেন্যুতে ২০২১ সালে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচ ও গা গরমের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। সব হিসাব মিলিয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগেও বারবার সেই তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যানই সামনে চলে এসেছে।

একইভাবে আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই আবুধাবির শেখ জায়েদ সেটডিয়ামে এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে ঘুরে ফিরে দুই মাস আগে বাংলাদেশের সিরিজ বিজয়ের প্রসঙ্গটাই সামনে চলে আসছে।

ঠিক দুই মাস আগে (গেল জুলাইয়ে) শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ১০ জুলাই পাল্লেকেল্লেতে প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে হারের ধাক্কা সামলে পরের দুই ম্যাচে নিজেদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ ওপরে তুলে লঙ্কানদের ওপর পূর্ণ আধিপত্য বিস্তার করে যথাক্রমে ৮৩ রান ও ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে সিরিজ জিতেছিল লিটন দাসের দল।

সেই সিরিজে অধিনায়ক লিটন দাস ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন (৩ ম্যাচে ১১৪ রান)। বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ তামিমও (৩ ম্যাচে ৯৪ রান) ব্যাট হাতে কার্যকর ভূমিকা রাখেন। বোলারদের মধ্যে অফস্পিনার শেখ মেহেদী এক ম্যাচ খেলে দুর্দান্ত বোলিং (৪/১১) নৈপুণ্য দেখিয়ে সিরিজ নিশ্চিতে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

এছাড়া বাঁহাতি মিডলঅর্ডার শামীম পাটোয়ারী (২ ম্যাচে ৬৬ রান) ও দুই বোলার লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন (৩ ম্যাচে ৪ উইকেট) ও পেসার সাইফউদ্দীনের (২ ম্যাচে ৩ উইকেট) পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।

সব মিলিয়ে পিছিয়ে পড়েও হতোদ্যম হয়নি বাংলাদেশ। বরং জয়ের তীব্র বাসনা ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে দলগত পারফরম্যান্স দেখিয়ে লঙ্কা জয় করে দেশে ফেরে বাংলাদেশ।

সেই টিম পারফরম্যান্স ও একটা ইউনিট হিসেবে খেলাটা আজ শনিবার জায়েদ স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের সঙ্গে ভালো খেলায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। জেতার পথে বড় অনুপ্রেরণাও হতে পারে।

বিশেষ করে গত ১৬ জুলাই কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে লিটন দাসের নেতৃত্বে ৮ উইকেটের সহজ জয়টি হতে পারে টাইগারদের ভালো করার ও জেতার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা ও অতি কার্যকর রসদ।

দুই মাসেরও কম সময় আগে প্রেমাদাসায় স্বাগতিক লঙ্কানদের কুপোকাত করেছি। আজ ভিন্ন দেশে কেন পারবো না? এই ভাবনায় ভেতর থেকে ভালো করার উদ্যমটা তীব্র হতে পারে তানজিদ তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, শামীম পাটোয়ারী, শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজদের।

ওই ম্যাচে টাইগারদের জয়ের রূপকার ছিলেন অফস্পিনার শেখ মেহেদী। তার আ্গুনে স্পেলে পুড়ে ছারখার হয়েছিল লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম (৪ ওভারে ৫০) বেদম মার খেলেও বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান (৪ ওভারে ১/১৭) লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের (৪ ওভারে ০/২০) এর মাপা বোলিং অনেক কাজে দিয়েছে। তাই মাত্র ১৩২ রানেই থেমে গিয়েছিল চারিথ আসালাঙ্কার দল।

জবাবে মাত্র ২ উইকেট খুঁইয়েই ওই রান টপকে গিয়েছিল টাইগাররা। পারভেজ ইমন ০ রানে ফিরলেও অপর বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ তামিম (৪৭ বলে ৭৩*) হাত খুলে উইকেটের চারিদিকে ফ্রি স্ট্রোক প্লে'র অনুপম প্রদর্শনী দেখিয়ে দল জিতিয়ে বিজয়ীর বেশে সাজঘরে ফেরেন।

এক প্রান্তে তানজিদ তামিমের এমন আত্মবিশ্বাসী, স্বাচ্ছন্দ ও বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে কয়েকটি কাজ হয়। প্রথমত, লঙ্কান ফ্রন্টলাইন বোলাররা, বিশেষ করে মাহিশ থিকসানা (৩.৩ ওভারে ০/৩০), চারিথ আসালাঙ্কা (১ ওভারে ০/১৬) ও নুয়ান থুসারারা (৩ ওভারে ১/২৫) চেপে বসতে পারেননি।

আর তানজিদ তামিমের পরে উইকেটে যাওয়া বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস (২৫ বলে ৩২) ও তাওহিদ হৃদয়ের (২৫ বলে ২৭*) সাহস, আস্থা নিয়ে স্বাচ্ছন্দে ব্যাট করা সহজ হয়ে যায়। বাংলাদেশ পায় অনায়াস জয়।

বাড়তি কিছু হলে তো কথাই নেই। তবে আজকের ম্যাচে সেই টিম পারফরম্যান্সেরই পুনরাবৃত্তি দরকার বাংলাদেশের। টাইগারা আজ আবুধাবিতে কলম্বো ফিরিয়ে আনতে পারলেই সুপার ফোরের খুব কাছে চলে যাবে লিটন দাসের দল।

Lading . . .