Advertisement

আমাদের চোখ থাকবে ট্রফির দিকে-লিটন দাস

দৈনিক সংগ্রাম

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান
এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান

গতকাল পর্দা উঠছে এশিয়া কাপের। উদ্বোধনী দিনে মাঠে নামে আফগানিস্তান-হংকং। এর আগে হয় ট্রফি উন্মোচন ও ফটোসেশন। সেই সাথে ক্যাপ্টেন্স মিটের সংবাদ সম্মেলনেও হাজির হলেন অংশ নেয়া ৮ দলের অধিনায়ক। বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব, শ্রীলঙ্কার চারিথ আসালাঙ্কা, আফগানিস্তানের রশিদ খান, পাকিস্তানের সালমান আলি আগা, হংকংয়ের ইয়াসিম মোর্তাজা এবং নবাগত ওমানের অধিনায়ক যতিন্দর সিং। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এএসসি) প্রেসিডেন্ট মহসিন নকভীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ট্রফি উন্মোচনের পর সাংবাদিক সম্মেলনে অধিনায়করাও তাদের দলীয় প্রস্তুতি, প্রত্যাশা ও লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, এবার টাইগারদের চোখ থাকবে ট্রফির দিকে। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। একই গ্রুপে রয়েছে হংকং, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান। তিনটি গ্রুপ ম্যাচের মধ্যে অন্তত দুটি জিতলেই সুপার ফোরে জায়গা নিশ্চিত হবে টাইগারদের। এই গ্রুপের দুই দল হংকং-আফগানিস্তান প্রথম দিন মাঠে নেমেছে। অধিনায়কদের সাংবাদিক সম্মেলনে লিটন বলেছেন, ‘আমরা সম্প্রতি তিনটি সিরিজ খেলেছি এবং সবগুলোতেই ভালো করেছি। দল হিসেবে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। এশিয়া কাপে প্রতিটি দলই শক্তিশালী। এখানে জিততে হলে ভালো ক্রিকেট খেলতেই হবে। সেটাই আসল চ্যালেঞ্জ।’ অনেক বিশ্লেষকের মতে সুপার ফোরে পৌঁছানোর মতো ফেভারিট নয় বাংলাদেশ। হার্ষা ভোগলে ও আকাশ চোপড়ার মতো ধারাভাষ্যকাররা বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে এগিয়ে রেখেছেন। কিন্তু লিটনের ভাষ্য, ‘আমাদের কোনও কিছু প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ভালো পারফর্ম করেছি এবং প্রস্তুতিমূলক ক্যাম্পও ভালো হয়েছে। এখানে প্রতিটি দলই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং। আমরা চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত।’ এশিয়া কাপে তিনবার শিরোপার খুব কাছে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে, আর ২০১৬ ও ২০১৮ সালের ফাইনালে ভারতের কাছে হারের যন্ত্রণা হয়েছে সঙ্গী। সেই কষ্টের স্মৃতি টেনে লিটন বলেছেন, ‘এমন বড় টুর্নামেন্টে আমরা কয়েকবার রানার্স-আপ হয়েছি, কিন্তু কখনও শিরোপা জিততে পারিনি। এখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সহজ নয়। আমরা শতভাগ উজাড় করে দেবো, তবে প্রতিযোগিতা অনেক কঠিন। সফল হতে হলে সেই চ্যালেঞ্জগুলো জয় করতে হবে।’ এাছাড়া ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি এমন ফরম্যাট যেখানে যে কোনো দল বড় দলের বিপক্ষে চমক দেখাতে পারে। প্রতিদিনই নতুন চ্যালেঞ্জ।’ আফগান অধিনায়ক রশিদ খান যোগ করেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য মাঠে সর্বোচ্চ শ্রম দেওয়া। অতিরিক্ত চাপ নেয়ার কিছু নেই। কঠোর পরিশ্রমই সাফল্য এনে দেবে।’ পাকিস্তানের সালমান আলি আগা বলেন, ‘আমরা নতুন করে দল গঠন করছি। গত কয়েক মাসে দারুণ ক্রিকেট খেলছি, সবাই খুব উচ্ছ্বসিত।’ এবারই প্রথম এশিয়া কাপে জায়গা পাওয়া ওমানের অধিনায়ক যতিন্দর সিং বলেন, ‘এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেয়া আমাদের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত। খেলোয়াড়রা ভীষণ উচ্ছ্বসিত।’

আরও পড়ুন

Lading . . .