Advertisement

কলা কিনতে খরচ ৩৫ লক্ষ! BCCI-কে চিঠি হাই কোর্টের

এই সময়

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কলা কিনতে খরচ ৩৫ লাখ! BCCI-কে চিঠি হাই কোর্টের,গ্রাফিক্স: রাতুল মণ্ডল,
কলা কিনতে খরচ ৩৫ লাখ! BCCI-কে চিঠি হাই কোর্টের,গ্রাফিক্স: রাতুল মণ্ডল,

এই মুহূর্তে এশিয়া কাপ নিয়ে মেতে রয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। UAE-র বিরুদ্ধে কেমন হবে ভারতের দল, কে জায়গা পাবেন, কে বাদ পড়বেন- সে সব নিয়েই চলছে চর্চা। এর মধ্যেই শিরোনামে উঠে এল BCCI, সৌজন্যে কলা! ক্রিকেটারদের ডায়েটের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ কলা। আর সেই কলা কিনতেই নাকি খরচ হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা! এমনটাই অভিযোগ উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ১২ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে। এই নিয়ে এ বার BCCI-কে চিঠি দিল উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট। ঘটনাটা কী?

দেরাদুনের বাসিন্দা সঞ্জয় রাওয়াত সহ কয়েকজন একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ উত্তরাখণ্ড সরকারি টাকা নয়ছয় করেছে। পিটিশনে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ উত্তরাখণ্ডের একটি অডিট রিপোর্টের উল্লেখ্য করা হয়েছে। তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ উত্তরাখণ্ডের অ্যাকাউন্টের অডিট করানো হয়। সেই রিপোর্টে এসেছে, প্লেয়ারদের জন্য কলা কিনতে খরচ করা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।

Rs 35 lakh spent on bananas! BCCI gets HC notice for state body’s expenses pic.twitter.com/bvCE7xaMBA

এটা সামনে আসার পরেই জনস্বার্থ মামলায় ক্রিকেট সংস্থার অ্যাকাউন্ট রিপোর্ট নিয়ে তদন্তের দাবি জানান। বিচারপতি মনোজ কুমার তিওয়ারির সিঙ্গেল বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করে। সেখানেই বিচারপতি BCCI-কে চিঠি দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। যেহেতু উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থা বোর্ডের অধীনে রয়েছে। আগামী শুক্রবার অর্থাৎ, ১৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

BCCI

অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে ১২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। সেই টাকায় কলা কেনার পাশাপাশি ম্যাচের জন্য প্লেয়ারদের যেই পরিকাঠামো দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল সেটা দেওয়া হয়নি।

অডিট রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা আছে, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ উত্তরাখণ্ড ৬.৪ কোটি টাকা দিয়েছিল একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে। এ ছাড়াও বিভিন্ন টুর্নামেন্ট এবং ট্রায়ালের জন্য খরচ করা হয়েছিল ২৬.৩ কোটি টাকা। গত আর্থিক বছরে এই অঙ্কটা ছিল ২২.৩ কোটি টাকা। অভিযোগ, চার কোটি টাকা খরচ বাড়লেও সেই অনুযায়ী পরিকাঠামো বাড়ানো হয়নি।

BCCI

আপাতত বল BCCI-এর কোর্টে। বরাবরই বোর্ড দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। এক্ষেত্রে কী করে সেই দিকে তাকিয়ে সকলে। কারণ উত্তরাখণ্ড ক্রিকেটের সঙ্গে অতীতে যুক্ত ছিলেন IPL-এর চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল ও প্রাক্তন BCCI কর্তা অনুরাগ ঠাকুর।

আরও পড়ুন

Lading . . .