প্রকাশ: ১৫ জুলাই, ২০২৫

শুরুতে যেভাবে উইকেট হারাতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা, তাতে আগের ম্যাচের মতোই ভাগ্য বরণ করতে হয় কি না, সে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল; কিন্তু মিডল অর্ডারে লিটন দাস এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারীর দৃঢ়তায় লড়াকু পুঁজিই পেয়েছে বাংলাদেশ।
ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ১৭৭ রান। অধিনায়ক লিটন দাস সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন। এছাড়া শামীম হোসেন পাটোয়ারী করেন ৪৮ রান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আগের ম্যাচের মতোই বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী শুরু করেছিল টাইগার ব্যাটাররা। প্রথম দুই ওভারেই উইকেট হারিয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার। প্রথম ওভারের শেষ বলে বলে নুয়ান থুসারার ইনসুইং বলে বোল্ড হয়ে যান পারভেজ হোসেন ইমন। ৩ বল খেলে একটি রানও করতে পারেননি তিনি।
তানজিদ হাসান তামিম কিছুক্ষণ টিকে থাকতে পারলে ঝড়ের গতিতে রান ওঠে। কিন্তু আভিস্কা ফার্নান্দোর আউটসুইঙ্গার বলে শট খেলতে যান। বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় ডিপ স্লিপে। যেখানে কুশল পেরেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ তালুবন্দী করে নেন।
৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশ দলকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক লিটন দাস ও মিডল অর্ডার তাওহিদ হৃদয়। দু’জন মিলে গড়ে তোলেন ৬৯ রানের জুটি। ২৫ বলে ৩১ রান করে একটি ভুল শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন তাওহিদ হৃদয়।
৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ২ বল খেলে ১ রান করে তাওহিদ হৃদয়ের মত একই ভুল করলেন মিরাজও। স্কুপ খেলতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দিলেন। আউট হয়ে ফিরলেন তিনি।
এরপর লিটন দাস এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারী জুটি গড়ে তোলেন। ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে লিটন দাসও স্লগ খেলতে যান মিডউইকেটে। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় শর্ট থার্ড ম্যানে। থুসারার হাতে ক্যাচ হয়ে ফিরে যান। ৫০ বলে খেলেন ৭৬ রানের ইনিংস। ৫টি ছক্কার সঙ্গে মারেন একটি বাউন্ডারি।
শেষ ওভারে এসে পরপর দুই বলে রানআউট হন জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। শামীম ২৭ বলে খেলেন ৪৮ রানের ইনিংস। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ২টি ছক্কার মার। ২ বলে ৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), জাকের আলি অনিক, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), কুশল পেরেরা, আভিস্কা ফার্নান্দো, চারিথ আশালঙ্কা, দাসুন শানাকা, জামিকা করুনারত্নে, জেফরি ভেন্ডারসি, মহেস থিকসানা, বিনুরা ফার্নান্দো ও নুয়ান থুসারা।