Advertisement

‘এশিয়াতেও এই নিয়ম চলবে তো?’, স্লো ওভার-রেট বিতর্কে ICC-কে খোঁচা স্টোকসের

এই সময়

প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২৫

ICC-কে খোঁচা স্টোকসের,Ei Samay
ICC-কে খোঁচা স্টোকসের,Ei Samay

বুধবার থেকে ম্যাঞ্চেস্টারে শুরু ভারত-ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্ট। সিরিজ় নির্ণায়ক ম্যাচে নামার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে কথার লড়াই। লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বচসায় জড়ানো নিয়ে তোপ দেগেছেন শুবমান। জানিয়েছেন, অকারণে নয়, যথেষ্ট কারণ ছিল ওই ঘটনার পিছনে। পাল্টা দিয়েছেন বেন স্টোকসও। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, মাঠে ফের এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে চুপ করে থাকবে না ইংল্যান্ডও।

এ বার স্লো-ওভার রেট নিয়ে ICC-কে খোঁচা দিলেন ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন। লর্ডস টেস্টে এই কারণে আর্থিক জরিমানার মুখে পড়েছিল ইংল্যান্ড টিম। কেটে নেওয়া হয়েছিল দুই পয়েন্টও। কী বললেন স্টোকস?

ICC-র বিরুদ্ধে কেন ক্ষোভ উগরে দিলেন স্টোকস?

সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে স্টোকস বলেন, ‘ওভার রেট নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না, তার মানে এই নয় যে ইচ্ছে করে খেলার গতি কমিয়ে দিই। বিরক্ত হওয়ার কারণ বুঝতে পারছি, তবে আমার মনে হয় এই নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এশিয়াতে একই নিয়ম রাখা যাবে না। তখন ৭০ শতাংশ ওভারই করেন স্পিনাররা। কিন্তু নিউ জ়িল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডে ৭০-৮০ শতাংশ ওভার করেন পেসাররা। তাই একই নিয়ম রাখা সম্ভব নয়। কারণ পেসারদের তুলনায় স্পিনারদের ওভার অনেক কম সময়ে শেষ হয়। তাই বিভিন্ন দেশে আলাদা ভাবে ওভারের সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত।’

BEN STOKES ABOUT OVER-RATES:

"You can't have the same rules in Asia, where a spinner is bowling 70% of the overs - to have the same laws in NZ, AUS, ENG - where it's going to be 70-80% seam because the spinner's over takes less time than the seamer's over so common sense would… pic.twitter.com/LnUql37zW6

এই বিষয়ে বোলারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বেন স্টোকস। একটানা স্পেল করার পরে ফাস্ট বোলারদের ক্লান্তি গ্রাস করাটা স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছেন তিনি। লর্ডস টেস্টে শোয়েব বশিরের চোটের পরে বাধ্য হয়েই পেসারদের বেশি ব্যবহার করতে হয়েছিল স্টোকসকে।

Ben Stokes

শুধু তাই নয়, ম্যাচে কখনও পরিকল্পনামাফিক ভাবেও খেলার গতি কমাতে হয়, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এখন দেখার স্টোকসের এই বক্তব্যের পরে ICC নিয়ম পরিবর্তন নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করে কি না।

Lading . . .