Advertisement

‘সাকিব তো অবসর নেয়নি, আমরা তার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব’

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ১৫ জুলাই, ২০২৫

‘সাকিব তো অবসর নেয়নি, আমরা তার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব’
‘সাকিব তো অবসর নেয়নি, আমরা তার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব’

বিসিবি সাকিব আল হাসানকে চাচ্ছে। দেশের মাটিতে না হলেও সাকিব যাতে দেশের বাইরে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেন, তেমন চিন্তাভাবনা চলছে কিছুদিন ধরেই।

সেটা এমনি এমনি নয়। পরিসংখ্যান পরিষ্কার সাক্ষী দিচ্ছে, সব ফরম্যাটে বাংলাদেশ জাতীয় দলের পারফরম্যান্স খারাপ। ক্রিকেটারদের অনুজ্জ্বল, শ্রীহীন পারফরম্যান্সের কারণে জয়ের চেয়ে হারের পাল্লা ভারি হচ্ছে দিনকে দিন। ব্যাটিং ও বোলিংয়ের দৈন্যদশা পরিষ্কার জানান দিচ্ছে, বাংলাদেশ দলের শক্তি কমে গেছে।

ব্যাটাররা নিয়মিতই রানখরায় ভুগছেন (গতকাল রোববার শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচটি ব্যতিক্রম)। টপ ও মিডল অর্ডার কোনো বিভাগের অবস্থাই ভালো না। কেউ হাত খুলেও খেলতে পারছেন না। আবার লম্বা ইনিংস খেলারও কেউ নেই।

বোলিংটাও কেমন যেন ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছিল। বোঝাই যাচ্ছে, তামিম সাকিব মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহদের মানের কোয়ালিটি পারফরমার সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ। তামিম আর মাহমুদউল্লাহ সব ফরম্যাট থেকেই অবসরে চলে গেছেন। মুশফিক শুধু লাল বলে জাতীয় দলে আছেন।

তবে সাকিব এখনো কোনো ফরম্যাট থেকে অবসর নেননি। বর্তমানে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়নায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলছেন। ব্যাটে-বলে আলোও ছড়াচ্ছেন। তাই বাংলাদেশ দলের ঘাটতি মেটাতে আবারও সাকিবকে ফেরানোর কথা ভাবা হচ্ছে। ১৩ জুলাই জাগো নিউজে এমন এক প্রতিবেদন প্রকাশিতও হয়েছে।

সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবি পরিচালকদের উদ্ধৃতি দিয়ে পরিষ্কার বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ টিমের কনফিডেন্স লেভেলের অবস্থা খুব খারাপ। ক্রিকেটারদের সাহস, আত্মবিশ্বাস কমে গেছে। এই দলকে টেনে তুলতে দরকার সাকিবের মত ক্যারিশম্যাটিক পারফরমার। আসলে সাকিবের রিপ্লেসমেন্ট নাই। সাকিব নেই বলেই সমস্যা হচ্ছে। ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগের শক্তির ভারসাম্য অনেক কমে গেছে।’

‘সাকিব দলে থাকা মানেই একজন বাড়তি ব্যাটার ও বোলার খেলা। সাকিব একাদশে থাকার অর্থ, ৪ বোলার নিয়ে খেললেও চলে। আর বাড়তি ব্যাটিং অপশন থাকে। এখন একাদশ সাজাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ব্যাটার বাড়াতে হলে বোলার কমে ৪ জন হয়ে যায়। আবার ৫ বোলার নিয়ে খেললে একজন ব্যাটার কম পড়ে। সাকিব দলে থাকলে আর তা হয় না। হবেওনা। বোলিং ও ব্যাটিং লাইন আপে বাড়তি অপশন থাকবে।’

বিসিবির কর্তারা আরও জানান, জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ক্রমাগত খুব বেশি খারাপ হওয়ায় বোর্ড মিটিংয়ে অবস্থার উত্তরণ নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। সেখানেই আসলে সাকিবের প্রসঙ্গ উঠে আসে। আর তাই সাকিবের গুরু ও বিসিবি পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্তারা যে একটুও বাড়িয়ে বলেননি, ২৪ ঘণ্টা না যেতেই বিসিবি প্রধান আমিনুল ইসলামের কণ্ঠে মিললো তার সত্যতা।

আজ সোমবার পড়ন্ত বিকেলে ঢাকা স্টেডিয়াম সংলগ্ন ইনডোর স্টেডিয়ামে ৩৯তম জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন করতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিসিবি প্রধান পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, সাকিব ইস্যু শেষ হয়ে যায়নি। সাকিব সব ফরম্যাট থেকে অবসরও নেননি। তাই তারাও সাকিবকে দলে ফেরাতে চান।

তবে সবকিছুর আগে সাকিবের মতামত জানা খুব দরকার। পাশাপাশি যারা দল সাজান এবং ক্রিকেটার নির্বাচন করেন, সেই নির্বাচকদের মতামতটাও খুব দরকারি।

বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সাকিব তো অ্যাভেইলেবল খেলোয়াড়। সাকিব বাংলাদেশ টিম থেকে এখনও সব ফরম্যাটে রিটায়ার করেনি। আমরা (বিসিবি) তার সঙ্গে কথা বলবো। তার সঙ্গে কথা বলার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। আমি আজকের আগেও বহুবার বলেছি, এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে বাংলাদেশ দলের সিলেক্টর যারা তাদের ওপর। আমার সঙ্গে সাকিবের বেশ কিছুদিন যোগাযোগ হয়নি।’ এটুকু বলেই থামেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

বিসিবি প্রধানের কথাতে একটা বার্তা পরিষ্কার, যদি নির্বাচকরা চান এবং সাকিব রাজি থাকেন তবে তার জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ আছে।

Lading . . .