সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, মেলেনি আঘাতের চিহ্ন
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পুলিশ ও স্বজনদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। এরপর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ বন্দরের কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ ছালেহ আহাম্মদ পাঠান মরদেহ তুলে দেন বিভুরঞ্জন সরকারের ভাই চিররঞ্জন সরকারের কাছে। এরপর মুন্সীগঞ্জের স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বিভুরঞ্জনের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আহাম্মদ কবির বলেন, সকাল ১০টার দিকে ময়নাতদন্তের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর ১২টার দিকে। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর ১টার দিকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নিহত বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহে আঘাত কোনো চিহ্ন মেলেনি। ফরেনসিক প্রতিবেদন আসার পর বাকিটা জানা যাবে। পরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে নিহতের বড় ভাই চিররঞ্জন সরকার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে এসে বড় ভাই বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ শনাক্ত করে। একইদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চর বলাকী এলাকার মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহটি উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌপুলিশ।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মোবাইল ফোন ও তার ব্যবহৃত একটি ট্যাব বাসায় রেখে বের হন। এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। ওইদিন রাতে বিভুরঞ্জন সরকারের ছেলে ঋত সরকার রমনা থানায় জিডি করেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তার বাবা সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার কথা বলে বের হন। তার কর্মস্থল আজকের পত্রিকার অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি অফিসেও ছিলেন না।
কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. ছালেহ আহাম্মদ পাঠান বলেন, বিকেলে চর বলাকীর এলাকার মেঘনা নদীতে মরদেহটি ভাসছিল। পরে স্থানীয় লোকজন জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এর মাধ্যমে আমাদেরকে জানায়। আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সন্ধ্যার দিকে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠাই। মরদেহের ছবি রমনা থানায় পাঠাই। নিখোঁজ সাংবাদিকের স্বজনরা শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে এসে পরিচয় শনাক্ত করেন।
বিভুরঞ্জন সরকারের ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার বলেন, আমরা ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করব। মুন্সীগঞ্জের এখানে যত নিয়মকানুন আছে সেটা সম্পন্ন করে মরদেহ ঢাকায় নিয়ে যাব। প্রথমে বিভুদার মরদেহ তার সিদ্ধেশ্বরী বাসায় কিছুক্ষণ রাখা হবে। তারপরে সবুজবাগের বরেদেশ্বরী কালীমন্দিরে মরদেহের সৎকার করা হবে।