প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর আনিসুর রহমান (৩২) হত্যাকাণ্ডের একদিন পর মূল আসামি ভাগ্নে সৌরভ হাসান রুদ্রকে (২২) আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি এসএম সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে টহল পুলিশ সৌরভ হাসান রুদ্রকে ঢাকা মেইল ট্রেন থেকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও পিসিপিআর যাচাই করে রাতেই জয়দেবপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
নিহত আনিসুর রহমান জয়দেবপুর উপজেলার ভবানীপুর পশ্চিমপাড়ার আলি নেওয়াজের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত তরুণ সৌরভ হাসান রুদ্র জয়দেবপুর উপজেলার ভবানীপুর পূর্বপাড়ার বাসিন্দা রোকনুজ্জামানের ছেলে। চাঞ্চল্যকর আনিসুর রহমান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র আসামি সৌরভ হাসান রুদ্র।
জয়দেবপুর থানার ওসি আবদুর রব জানান, সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য ভারতে গেছেন আনিসুরের বোন ও ভগ্নিপতি। এ সময়ের জন্য তাদের ছেলে সৌরভকে মামা আনিসুরের বাড়িতে রেখে যান। মাদকাসক্তের বিষয়টি জানতে পেরে সৌরভকে মাদক গ্রহণে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি শাসন করতেন আনিসুর। বিষয়টি নিয়ে সৌরভের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। বুধবার বিকালে আনিসুর নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় তাকে ধারালো বঁটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যান সৌরভ। এ সময় আনিসুরের চিৎকারে বাড়ির বাসিন্দারা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। তারপর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে আনিসুরের মৃত্যু হয়।
ওসি আবদুর রব আরও জানান, সৌরভ মাদকাসক্ত ও বখাটেপনায় ঘোরাফেরা করতেন। এ জন্য তাকে শাসন করতেন তার মামা আনিসুর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মামাকে বঁটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় সৌরভ। পরে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি এসএম সফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ভোররাতে স্টেশনে টহল পুলিশ ঢাকা মেইল ট্রেন থেকে সন্দেহভাজন আচরণের কারণে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ ও থানায় পিসিপিআর যাচাই করে দেখা যায়, সে হত্যা মামলার একজন আসামি। পরে রাতেই তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।