টাঙ্গাইলে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বদলির আবেদন
প্রকাশ: ১ জুলাই, ২০২৫
-6863ce75217fa.jpg)
টাঙ্গাইলে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সামাউন কবিরকে অন্যত্র বদলির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন ১২ জন ইউপি সদস্য।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন ইউপি সদস্য মোছা. কল্পনা বেগম, মোছা. নুরনাহার বেগম, মোছা. ছবিয়া বেগম, সুমন খান, লুৎফর রহমান, নয়ন মিয়া, হারুন অর রশিদ, ইয়াছিন, মোহাম্মদ কায়সার আহমেদ, ফরমান আলী, মনিরুজ্জামান ও আক্তার হোসেন।
ইতোপূর্বে ঈদ ঘিরে ভিজিএসফের চাল আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল সামাউন কবিরের বিরুদ্ধে।
লিখিত আবেদন থেকে জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ৮নং বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সামাউন কবির যোগদানের পর থেকে ইউপি সদস্যদের অবমূল্যায়নের পাশাপাশি সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন।
ইউপি সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ না করে সামাউন কবির তার মতো স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে আঁতাত করে পরিষদের সব কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
ইউনিয়নের জনসাধারণের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ যে কোনো কাজে আসলে আইনের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে থেকে সরকারি ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়।
এতে জনসাধারণ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
ইউপি সদস্যরা জানান, সামাউন কবির বাঘিল ইউনিয়নে আসার পূর্বে যেসব ইউনিয়নে চাকরি করেছেন প্রত্যেকটি ইউনিয়নে একই ধরনের আচরণ করেছেন। নানা অনিয়মের অভিযোগে ইতোপূর্বে কয়েকবার শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। তার মতো দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারী দিয়ে পরিষদের কাজ চালানো সম্ভব নয়। তাই তাকে ধনবাড়ী বা পার্শ্ববর্তী কোনো উপজেলায় বদলি করা যেতে পারে। বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা সামাউন কবিরকে বদলি করার জোর দাবি করেন ইউপি সদস্যরা।
বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সামাউন কবিরের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মেহেদী হাসান বলেন, পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সামাউন কবিরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে লিখিত আবেদনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শিহাব রায়হান বলেন, অভিযোগের কাগজটি এখনো আমার কাছে আসেনি। এলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।