Advertisement

ওসির সঙ্গে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামির ছবি

যুগান্তর

প্রকাশ: ১১ আগস্ট, ২০২৫

ছবি: যুগান্তর
ছবি: যুগান্তর

তিনি ছিলেন সাবেক এমপি শামীম ওসমানের অনুসারী। পাশাপাশি ছিলেন একটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে রাস্তায় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় প্রাণ হারানো আদিলকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। আদিল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।

এতকিছু সত্ত্বেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। তবুও তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ। কারণ ওসির সঙ্গেই যে দহরম মহরম তার। সেই সব ছবিও ঘুরছে সামাজিক মাধ্যমে। এতক্ষণ বলছিলাম নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার এনায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটনের কথা।

নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের অন্যতম ক্যাডার যুবলীগ নেতা শাহ নিজামের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিটন এখনো প্রকাশ্যেই ঘুরছেন।

রোববার (১০ আগস্ট) সকালে ফতুল্লার পঞ্চবটি মোড়ে সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম। মানববন্ধনকারীদের শান্ত করতে বক্তব্য রাখেন ওসি। ওই সময় সুযোগ বুঝে লিটন ওসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। এরপর মুহূর্তেই আত্মগোপন করেন তিনি।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কয়েকজন জানান, ওসির সঙ্গে চেয়ারম্যান লিটনকে দেখে তারা হতবাক হয়ে পড়েন। তবে ভয়ে ওসিকে কিছু বলতে পারেননি তারা।

ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘হাবিবুর রহমান লিটন আসলেই ডেভিল (শয়তান)। তা না হলে সে একজন ওসির পাশে দাঁড়িয়ে ফটোশেসন করে পালাতে পারে? তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা আছে। কিন্তু আমি তাকে চিনি না। কেউ যদি তাৎক্ষণিক বলতো, তাহলে তাকে গ্রেফতার করতে পারতাম।’

এলাকাবাসী জানান, ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ ফতুল্লার হরিহর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজিত কর্মী সভায় শামীম ওসমানের হাতে ফুল দিয়ে ফ্যাসিস্ট দলটিতে যোগ দেন লিটন। এরপর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি । হরিহরপাড়া স্কুলের পাশে এক হিন্দু পরিবারের তিনতলা পুরানো বাড়ি ভেঙে জমি বিক্রি করে দেয়। প্রভাবশালী হওয়ায় লিটন ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ বাধা দিতে পারেনি।

২০২৪ সালের ১৯ জুলাই প্রকাশ্যে লিটন ও তার দলবল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করেছেন। ওই দিনই লিংক রোডে আন্দোলন প্রতিরোধকারীদের গুলিতে ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে আপন ও তার ছেলের বন্ধু আদিল গুলিবিদ্ধ হয়। চোখে গুলি লেগে দৃষ্টি শক্তি হারান আপন। আর মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান আদিল।

Lading . . .