Advertisement

ফরিদপুরে পবিসের ৪২৫ জন ছুটিতে, কাজে যোগ দিলেন মাত্র ১০ জন

যুগান্তর

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) ফরিদপুরে পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি ও গণছুটিতে গেছেন বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী। অনেকে অফিসের নির্ধারিত ফরমে স্বাক্ষর করে গণছুটিতে গেছেন বলে পবিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গণছুটির কারণে বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। তাদের এ গণছুটি দীর্ঘায়িত হলে এবং দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কোনো সমাধান না হলে পল্লী বিদ্যুৎ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ তীব্রভাবে বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞমহল।

ফরিদপুরের কানাইপুর পবিস অফিস সূত্রে জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে মোট ৬২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩৫ জন ছুটিতে গিয়েছেন।

তারা বলছেন, দাবি পূরণ না হলে তারা কাজে ফিরবেন না। তবে অফিসের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) তাদের বুঝিয়ে কাজে যোগদানের কথা বলছেন।

মঙ্গলবার সকালে ৪২৫ জনের মধ্যে মাত্র ১০ জন তাদের ছুটি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দিয়েছেন।

গত রোববার সন্ধায় বিদ্যুৎ বিভাগ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের জন্য যে নির্দেশনা প্রদান করেছে সেই বিষয়ে ছুটিতে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবগত করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত পবিস ফরিদপুর অফিস থেকে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা গেছে।

ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফরিদপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুতের কর্মীদের কর্মসূচি পালনে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। অনেকক্ষেত্রে অফিসে গিয়েও সেবা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রোববার দুপুরে গণছুটির ফরম ও সংশ্লিষ্ট অভিযোগ কেন্দ্রে স্বাক্ষর করে কর্মবিরতিতে যায়।

স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধ উপেক্ষা করে তারা তাদের দাবি পূরণে অনড় থাকেন। তবে মাত্র ১০ জন তাদের গণছুটি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন।

পবিস ফরিদপুর জেনারেল ম্যানেজার মো. নাসিরুদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, আমাদের অধীনে ৬২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ৪২৫ জন ছুটিতে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ১০ জন ছুটি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দিয়েছেন। বাকিদের কাজে যোগদানের বিষয়টি বুঝাতে চেষ্টা করছি। দাবি আদায়ে কর্মচারীরা এখনো অনড়।

আরও পড়ুন

Lading . . .