প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে জোলি জাতিসংঘের হিসাব তুলে ধরে লিখেছেন, গাজায় পাঁচ বছরের নিচে প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছে।
পোস্টের দীর্ঘ ক্যাপশনে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তাকে সমালোচনা করেন। জোলি লিখেছেন, “এত নিরীহ প্রাণ ও আমাদের বিশ্বাস করা নীতিগুলো এভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে, এটা হৃদয়বিদারক। মানবাধিকারকে বাছাই করে রক্ষা করা হচ্ছে- কিছু জীবনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে, আর কিছু জীবনকে ফেলে দেওয়ার মতো মনে করা হচ্ছে।”
এসব কিছুই ‘ইচ্ছেকৃত’ দাবি করে জোলি দীর্ঘ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে আরো লিখেন,“এটা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের নির্লজ্জ আচরণেরই ফল— যেখানে তারা বেছে নেয় কোন দেশকে সমালোচনা করবে, আর কোন দেশকে উপেক্ষা বা সমর্থন করবে। অথচ বাস্তবে, সহিংসতার কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এক দশকে দ্বিগুণ হয়েছে— সুদানি, সিরীয়, আফগান, ইউক্রেনীয় এবং ফিলিস্তিনিরা এর মধ্যে রয়েছে। এর কিছুই আকস্মিকভাবে ঘটছে না। সবই ইচ্ছাকৃত।”
“সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই এসব সতর্কবার্তা উপেক্ষা করছে, আর প্রতিটি দিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।” এমনটাই বলেন জোলি।
ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষ আজকের চেয়ে আরও বেশি ঝুঁকিতে থাকবে- সতর্ক করে বহু দর্শকপ্রিয় সিনেমার এই অভিনেত্রী বলেন, “এ ধরনের নিষ্ক্রিয়তা ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ দৃষ্টান্ত তৈরি করবে, যেখানে সাধারণ মানুষ আরও বেশি ঝুঁকির মুখে পড়বে- তা হোক ক্ষুধায়, হাসপাতাল বা স্কুলে হামলায়।”
জোলি আরও লেখেন, “যাদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন রক্ষার ক্ষমতা আছে কিন্তু কিছু করছে না, তারাও দায়ী। আমরা যেটা সহ্য করি, সেটাই আমাদের পরিচয় হয়ে দাঁড়ায়।”
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি দীর্ঘদিন ধরে শরণার্থী, যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল ও শিশু অধিকার বিষয়ে সোচ্চার। – রয়া নিউজ