প্রকাশ: ১ জুলাই, ২০২৫
মৃত্যুর পরে চলে গেছে চার দিন। এখনো ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ খ্যাত মডেল ও অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুর ময়নাতদন্ত ঘিরে রহস্যের জোট খুলছে না। যদিও সামনে এসেছে প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। এর মধ্যেই সামনে এল শেফালির বান্ধবীর বক্তব্য। শুক্রবারে রাতে হাসপাতালে নেওয়াকে কেন্দ্র করে কী কী ঘটেছিল, সেটাই গণমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।
প্রয়াত অভিনেত্রীর বান্ধবীর নাম পূজা ঘাই। তাঁর সঙ্গে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক ছিল। বিবেক ললওয়ানির সঙ্গে শুক্রবারের ঘটনা নিয়ে কথা বলেন পূজা। ইন্ডিয়া টুডের বরাত দিয়ে জানা যায়, সেই শুক্রবার রাতের ঘটনা নিয়ে কথা বললেও মৃত্যুর কারণ কী হতে পারে সেই বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
পূজা বলেন, ‘সত্যনারায়ণ পূজা উপলক্ষে ধুমধাম আয়োজন ছিল। সেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় শেফালি। বন্দোবস্তের সে সহযোগিতা করে। আমরা শেফালিকে শেষ আচারের জন্য নিয়ে আসি। আগের দিনটি উৎসবমুখর কাটে।’
এ সময় পূজা আরও জানান, তাঁর বান্ধবী শেফালি সময়মতো রাতের খাবার খেতেন। নিয়মিত তিনি খাওয়ার পরে স্বামী পরাগ ত্যাগীকে বলতেন, পোষ্য কুকুরকে একটু বাইরে ঘুরিয়ে নিয়ে আসতে। ‘প্রতিদিনের মতো কুকুর নিয়ে হাঁটতে যায় পরাগ। সে নিচে চলে যায়। এমন সময় বাসার সহায়তাকারী দ্রুত তাঁকে জানান, ‘‘দিদির শরীর ভালো না। তাকে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে।’” বলেন পূজা।
কুকুরের বয়স অনেক বেশি ছিল। পরাগ তখন বাসার সহায়তাকারীকে বলেন, ‘দ্রুত নিচে নেমে কুকুরটি ধরতে। পরাগ তখন লিফটের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সহায়তাকারী নিচে নামলে পরাগ দ্রুত ওপরে উঠে যান। শেফালির পাশে বসে পড়েন। তখনো শেফালির পালস চলছিল। তাঁর চোখ বন্ধ ছিল। পরাগ বুঝতে পারেন খারাপ কিছু একটা হয়েছে। শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল মারা গেছেন। তখনই তিনি শেফালিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ততক্ষণে তিনি মৃত।’
পূজা তাঁর বান্ধবীর মৃত্যুকে হৃদয়বিদারক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, সেই রাতে শেফালি তাঁর মা জানিয়েছিলেন তাঁর বুকে ব্যথার কথা। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘শেফালি নিয়মিত বিশেষ ভিটামিন নিত। এমনকি মৃত্যুর রাতেও সে এই মেডিসিন নিয়েছিল। এই ওষুধকে সাধারণত নিরাপদ বলা হয়। এটা বেশির ভাগ দুবাইতে পাওয়া যায়। সেখানে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়।’
শেফালির ঘর থেকে দুটি অ্যান্টি-এজিং ওষুধের প্যাকেট পাওয়া গেছে। এটা নিয়ে শেফালির পরিবার জানায়, বয়সের ছাপ না পড়ার জন্য তিনি পাঁচ-ছয় বছর ধরে এ ধরনের ওষুধ খাচ্ছিলেন। এ ছাড়া স্কিন গ্লো ট্যাবলেট ও বিভিন্ন ভিটামিনও তিনি নিয়মিত গ্রহণ করতেন। কিছু ওষুধ তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই খেতেন।