Advertisement

ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার কারণ জানালো ইতালি

ডেইলি স্টার

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতের মধ্যে ইতালির ইসরায়েলের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ ঘিরে তৈরি হয়েছিল তীব্র বিতর্ক। অনেক আজ্জুরি সমর্থক দলকে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি গাব্রিয়েলে গ্রাভিনা জানিয়েছেন, ম্যাচটি না খেললে ইতালির জন্য সেটি হতো আরও বড় ক্ষতি।

সূচি নির্ধারণ হওয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে বয়কটের ডাক দেন ইতালি সমর্থকরা। ম্যাচের দিন তো ইসরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন মুখ ঘুরিয়ে প্রতিবাদ জানান, আবার অনেকে প্ল্যাকার্ড হাতে গ্যালারিতে হাজির হয়ে ইসরায়েলের প্রতি বিরোধিতা প্রকাশ করেন। মাঠের লড়াইয়ের বাইরেও তাই ম্যাচকে ঘিরে ছিল তীব্র আবেগ ও রাজনৈতিক রঙ।

গ্রাভিনা স্পষ্ট করে বলেন, 'ইসরায়েলের বিপক্ষে না খেললে এর অর্থ দাঁড়াত ইতালির বিশ্বকাপে না যাওয়া। এতে ইসরায়েলের কাজটা আরও সহজ হয়ে যেত, কারণ তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৩–০ গোলে জয় পেত। আর ইতালির বিশ্বকাপের পথ হতো অনেক কঠিন।'

রেডিও আনচিও স্পোর্ত–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, 'প্রথমেই আমরা সেই কথাটি আবারও স্মরণ করাতে চাই, যা গাত্তুসো বারবার বলেছেন। আমরা সবাই মানুষ, এই বিশ্বের নাগরিক। আমরা ভীষণ দুঃখিত, কারণ মানব মর্যাদা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে আছি, বিশেষ করে শিশু ও নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের পাশে।'

ফিলিস্তিনে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের কারণে অনেক সমর্থক ম্যাচ বয়কটের দাবি তুলেছিলেন। ইসরায়েলের হাতে শিশু ও সাধারণ মানুষের ওপর সহিংসতা সেই প্রতিবাদের কারণ। গ্রাভিনা স্বীকার করেন, 'দ্বন্দ্ব নিয়ে যার যেমন মতামতই থাকুক না কেন, নিরীহ মানুষের অকারণ কষ্ট দেখা সবসময়ই বেদনাদায়ক।'

অতএব, বয়কটের দাবি যত জোরালোই হোক, বাস্তবতা হলো খেলা এড়িয়ে গেলে ইতালির ক্ষতিই হতো বেশি। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষ ও শিশুদের প্রতি আচরণে তারা গভীরভাবে মর্মাহত, আর সেই দুঃখ নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছে তাদের। যদি ম্যাচ না খেললে কোনো বিরুপ প্রতিক্রিয়া না থাকত, তাহলে ইতালিও হয়তো মাঠে নামত না বলেই জানান গ্রাভিনা।

Lading . . .