Advertisement

নীরব ঘাতক ‘নোমোফোবিয়া’র লক্ষণ জেনে নিন

যুগান্তর

প্রকাশ: ৬ জুলাই, ২০২৫

24obnd

বর্তমান আধুনিকায়নের এই যুগে প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন। এই স্মার্টফোন আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে আছে। কখনও কি ভেবে দেখেছেন যদি আমাদের ফোন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় অথবা ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায় তাহলে আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে? আপনি কি স্বাভাবিক থাকতে পারবেন! হয়তো এই চিন্তাই আপনাকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। মোবাইল ফোনের এই নতুন সংকটকেই বলা হয় ‘নোমোফোবিয়া’।

নোমোফোবিয়ার পুরো নাম হরো ‘নো মোবাইল ফোন ফোবিয়া’। অর্থাৎ, মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার ভয়। এটি এমন একটি মানসিক অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি মোবাইল ফোনের অভাবে নার্ভাস এবং উদ্বিগ্ন বোধ করেন। ২০০৮ সালে ব্রিটেনে এক গবেষণার সময় এই নামটি প্রথম উঠে আসে। তখন দেখা যায় মোবাইল ফোন ছাড়া মানুষ তাদের জীবন কল্পনাও করতে পারে না।

ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কেবল কথা বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এটি এখন একটি মাল্টি-টাস্কিং ডিভাইসে পরিণত হয়েছে যেখানে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যাংকিং, অনলাইন কেনাকাটা, স্বাস্থ্য ট্র্যাকিং এমনকি আমাদের কাজও করি। যখন মানুষ এই পরিষেবাগুলো থেকে বঞ্চিত হয় তখন তারা চাপ এবং উদ্বেগ অনুভব করে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ছাড়া একদিনও কাটাতে পারে না।

আরও পড়ুন

নোমোফোবিয়ার প্রভাব

এই মানসিক অবস্থা কেবল ব্যক্তিত্বকেই প্রভাবিত করে না, বরং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ক্রমাগত স্ক্রিন টাইম এবং মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার চোখের ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, এটি সামাজিক সম্পর্কের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কারণ মানুষ বাস্তব জগতে যোগাযোগের পরিবর্তে তাদের ফোনে ব্যস্ত থাকে। এর সঙ্গে সঙ্গে, এটি পড়াশোনা, কাজ, পারিবারিক সময় বা ব্যক্তিগত আগ্রহের ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

নোমোফোবিয়া এড়ানোর উপায়

১. সপ্তাহে একদিন বা কয়েক ঘণ্টা ফোন থেকে দূরে থাকুন।,

২. স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে দিনের বেলায় নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করুন।

৩. নোটিফিকেশন এবং অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করে আপনার ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

৪. শোবার ঘরে বা ডাইনিং রুমে ফোন ব্যবহার বন্ধ করুন।

৫. ছুটির দিন এবং বিরতি নিয়ে কিছু সময়ের জন্য ফোন থেকে দূরে থাকুন যাতে আপনি মানসিক শান্তি পেতে পারেন।

৬. পড়া, লেখা, ছবি আঁকা, সঙ্গীত ইত্যাদির মতো কার্যকলাপ বেছে নিন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

আরও পড়ুন

Lading . . .