Advertisement

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রূপান্তরের শুরু : ফখরুল

ভোরের কাগজ

প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে দেশে এক নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রূপান্তর শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক ঘোষণায় রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কেটে যাবে এবং গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ সুগম হবে।

বুধবার (৬ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৬ বছর ধরে জনগণ এক দমনমূলক ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তারা প্রাণ দিয়েছে, গুম-খুন ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে তিনটি জাতীয় নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে।

আরো পড়ুন : জুলাই ঘোষণাপত্রে যা যা আছে

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলায় ১০ বছরের সাজা দিয়ে ৬ বছর কারাবন্দি করে রাখা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের কারাদণ্ড দিয়ে বিরোধী দলকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছে সরকার।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন সবকিছুর পরও তারা লড়াই চালিয়ে গেছে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের ফলে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি নতুন রাষ্ট্র কাঠামো গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট ঘোষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দেশের রাজনৈতিক পুনর্গঠনের নতুন সূচনা হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, এই ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর যে অঙ্গীকার এসেছে, তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারভিত্তিক প্রগতিশীল বাংলাদেশ গঠনের পথ উন্মুক্ত হবে। এই ঐতিহাসিক সংগ্রামে অংশ নেওয়া ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের প্রতি বিএনপির কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা রইল।

নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের বৈঠকের ভিত্তিতে হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। আমরা আশা করি, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন ও সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ এক বছরে গণতন্ত্রের পথে ফেরার যাত্রা অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গেছে। তবুও অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ ও উদ্যোগের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা আশা করি, অচিরেই রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কারের বাকি কাজগুলো সম্পন্ন হবে।

Lading . . .